দেশের পেট্রলের দাম আপাতত ১০০র গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। আর তাতেই সাধারন মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তাই দেশের জনগন বর্তমানে পেট্রল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি বাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক দ্বারা চালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন বেশি। ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এসেছে ইলেকট্রিক বাস, মোটর বাইক এবং মিনি ট্রাক। তবে এবার বাজারে আসতে চলেছে বৈদ্যুতিক ট্রাক্টর। এমনই ইঙ্গিত দিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে ইলেকট্রিক ট্রাক্টর। যা কৃষি ক্ষেত্রে খরচ কমাবে অনেকটা। এতে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচ যেমন কম হবে, তেমনি চাষে খরচও কম হবে।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনিয়ার হয়েও মাটির প্রতি টান! তাই চাষ করে বছরে ১ কোটি আয় যুবকের
তবে বৈদ্যুতিক ট্রাক্টর চালু করবে যে সংস্থা তার নাম বলতে অস্বীকার করেছেন পরিবহন মন্ত্রী। তিনি জানান, লঞ্চের তারিখ কাজ করা হচ্ছে। কৃষিকার্যে ব্যবহার করার জন্য ইলেকট্রিক ট্রাক্টর গুলির অনেক শক্তিশালী হতে হবে। কারণ লাঙ্গল, পণ্য নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা ইত্যাদি বহু কাজ এই ট্রাক্টর দ্বারা করতে হবে। তবে বাজারে ইলেকট্রিক ট্রাক্টর আনার সামান্য ইঙ্গিত দিয়েছিল গডকরি। এই সংস্থার তরফ থেকে বলা হয় “একজন কৃষককে বাজারে 300 কেজি সবজি পরিবহন করতে হবে, তাকে 200 টাকা খরচ করতে হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা একটি ইলেকট্রিক ট্রাক্টর বাজারে আনব।”
আপাতত দুটি কোম্পানি বাজারে ইলেকট্রিক ট্রাক্টর আনার চেষ্টা করছে। সোনালিকা এবং মাহিন্দ্রা এই দুটি কোম্পানি আগামী দু মাসের মধ্যে বাজারে এই ট্রাক্টর আনার চেষ্টা করছে। সোনালিকা টাইগার ইলেকট্রিক নামের একটি ট্রাক্টর বাজারে আনতে পারে। যার মুল্য হতে পারে 5.99 লক্ষ টাকা। এটি 11kW মোটর দ্বারা চালিত এবং 500kg ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই ট্রাক্টরের মধ্যে। পাশাপাশি আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে মাহিন্দ্রাও বাজারে আনতে পারে ইলেকট্রিক ট্রাক্টর। সেন্ট্রাল ফার্ম মেশিনারি ট্রেনিং অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট থেকে বৈদ্যুতিক ট্রাক্টরের জন্য একটি শংসাপত্র পেয়েছে যা CMVR (সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল রুলস, 1989) অনুগত।