'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার
Updated on: 30 June, 2020 3:59 PM IST

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় বাংলার অভিবাসী শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা, ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড, ইত্যাদির মতো প্রকল্পের আওতার বাইরে ছিল বাংলা। তবে এই মহামারীর সময়ে রাজ্যে তথা দেশে প্রচুর মানুষ হারিয়েছেন তাদের কর্মসংস্থান। অনেক অভিবাসী তাদের কাজ হারিয়ে রুজি রোজগারের চিন্তায় দিশেহারা। এই সকল অভিবাসী শ্রমিক শ্রেণীর জন্য কেন্দ্র গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনার আওতায় তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বলে এই মর্মে ঘোষণা করেছে। অন্যান্য রাজ্য এতে সংযোজিত থাকলেও এই প্রকল্পের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু কেন? তা নিয়েই বেঁধেছে বিরোধ, রাজ্যে দেখা দিচ্ছে বিক্ষোভ।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য (The Statement Of The FM, Nirmala Sitaraman) -

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন রবিবার স্পষ্ট করে জানান যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সময়মতো অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে তথ্য কেন্দ্রের কাছে সরবরাহ করেনি। তাই পশ্চিমবঙ্গের অভিবাসী শ্রমিকদের গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভবপর হয়নি। দেশের ১১৬ টি জেলার অভিবাসী শ্রমিকরা গরিব কল্যাণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গ। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে, রাজ্যের শ্রমিক এবং কৃষকরা যদি কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তবে এর জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকার। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সারা দেশের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গে এটি প্রয়োগ করেনি এবং এভাবে বাংলার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের মতো সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।   

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সীতারামনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Ami Mitra Reacted Sharply To Sitaraman’s Statement) -

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সীতারামনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে, রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের মতো জমির পরিমাণের ভিত্তিতে নয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে ৩ টি কিস্তির মাধ্যমে মোট ৬০০০ টাকা কৃষককে দেওয়া হয় এবং কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি কিস্তিতে ৫০০০ করে সর্বমোট ১০০০০ টাকা দেওয়া হয়। সুতরাং, এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের চেয়ে ভালো। রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ৯৪৪০ টি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত কৃষক পরিবারে ২২৫৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার বাংলার কৃষকদের জন্য আরও অনেক সরকারী প্রকল্প প্রচলন ও বাস্তবায়ন করেছে। বাংলার কৃষকরা কোনওভাবেই বঞ্চিত হচ্ছেন না।

অমিত মিত্র, অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে তথ্য সরবরাহ না করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অভিযোগকেও খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, ২৩ শে জুন কেন্দ্রের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার পরে, প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে জেলা ভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য ওই দিনই রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে প্রেরণ করে। ২৫ শে জুন, কেন্দ্র আবার ব্লক পর্যায়ে তথ্য প্রেরণ করতে বলে, তখন এই নির্দেশনাটিও অনুসরণ করা হয়। রাজ্য সরকার ২০ টি জেলা থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে তথ্য প্রেরণ করেছিল। এ পর্যন্ত ১৪ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকার তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে অবিরত প্রচেষ্টা করে চলেছে।

লক্ষণীয় যে ২০ শে জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজ গ্রামে অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে 'গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান' প্রকল্পটি ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্পটি ৬ টি রাজ্যের ১১৬ টি জেলায় শুরু হয়েছে যেখানে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। তবে এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত না করায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস এবং সিপিআই-এম উভয় বিরোধী দলই এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছে। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেছেন যে বিজেপি বঙ্গবিরোধী। তাই গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় বাংলার একটিও জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বামফ্রন্টের আইনসভা দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন যে বাংলার অভিবাসী কর্মীদের গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা একেবারেই অনুচিত। সিপিআই (এম) এ বিষয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করবে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছেন যে, কেন্দ্র বাংলার অভিবাসী শ্রমিকদের সাথে রাজনৈতিক পর্যায়ে বৈষম্য করছে।

Image Source - Google

Related Link - পণ্য বিক্রিতে উপার্জন বাড়ছে কৃষকদের জিও কৃষি (JioKrishi) অ্যাপের সহায়তায়

গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান যোজনা (PMGKY): আপনি ঘরে বসেই এই প্রকল্পের সহায়তায় পাবেন কর্মসংস্থান

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় (PM Fasal Bima Yojana- Application Procedure) এই পদ্ধতিতে এখন আপনিও সহজেই আবেদন করতে পারবেন

English Summary: PM Garib Kalyan Yojana- West Bengal Migrants Excluded, Central Blames The State Government
Published on: 30 June 2020, 03:59 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)