করোনাভাইরাস এখনও পর্যন্ত ভারতে তার প্রভাব দেখিয়ে চলেছে। আর এই সময়টি হল সবচেয়ে বিপদের সময়। কারণ স্টেজ ২ থেকে ৩ তে যদি ভাইরাসটি চলে যায়, তবে তা আমাদের জন্যে খুবই মারাত্মক। এই ভাইরাসের কন্টামিনেশন পাওয়ার জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য হবেন। যদি কোন কাষ্ঠের উপর ভাইরাসটির ড্রপলেট আসে, তাহলে তার সক্রিয়তার সময়সীমা কয়েক ঘন্টা। কিন্তু যদি স্টিলের কোন বস্তুর সংস্পর্শে এই ভাইরাসের ড্রপলেট আসে, তাহলে তা ২-৩ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। অর্থাৎ, এই সময় কোন সুস্থ ব্যক্তি যদি ওই বস্তুর সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তিনি সংক্রামিত হয়ে পড়বেন। এতটাই মারাত্মক এর শক্তি। এখনও পর্যন্ত এর ওষুধ আমাদের বাজারে আসেনি। তাই আমাদেরকে রক্ষা করতে, আজ সরকার ২১ দিনের লকডাউন –এর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।
লকডাউন অর্থাৎ আমরা ঘরবন্দি থাকলে সংক্রামিত হওয়া থেকে মুক্তি পাব। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO)–এর মতে, এই লকডাউনের মাধ্যমে সম্ভব চেন ব্রেক অর্থাৎ মহামারী করোনা-র সংক্রমণের থেকে রক্ষা পাওয়া। এই লকডাউন মেনে চললে আমাদের দেশ এই মহামারী থেকে রক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ বলেন করোনা অর্থাৎ, কো-কোই, রো-রোড, না-না নিকলে। তিনি আরো বলেন যে, দেশ শীঘ্রই এই কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসবে। এরপর তিনি তাঁর মূল্যবান কিছু বক্তব্য রাখেন। জেনে নিন, সতর্কতার জন্য কী কী অবলম্বন করতে বলেছেন তিনি -
১) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।
২) আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন
৩) ২১ দিন অবধি সারা দেশ লকডাউন অর্থাৎ ১৪ ই এপ্রিল
৪) করোনার চিহ্ন দেখাতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
৫) করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন তিনি।
৬) প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
৭) স্বাস্থ্য সব রাজ্যের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত
৮) মিডিয়াপার্সন এবং ডাক্তারদের জন্য প্রার্থনা করুন
৯) যে তথ্যমাধ্যম কর্মীরা সঠিক তথ্য দিয়েছিলেন তাদের ধন্যবাদ।
১০) দিনের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে ভুলে যান।
১১) রাত বারোটার পরে লোকেরা বাড়ি থেকে বের হবেন না।
১২) আজ রাত ১২ টা থেকে পুরো দেশ লকডাউন হয়ে যাচ্ছে।
১৩) দেশের জন্য, আগামী দিনগুলির জন্য খুব সজাগ এবং সতর্ক থাকুন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)