পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 5 January, 2019 5:01 PM IST

কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিং বলেছেন, অক্টোবরের শুরুতে খরিফ বিপণনের বছরে ন্যূনতম সাপোর্ট মূল্য (এমএসপি) ভিত্তিতে ডালশস্য ও তৈলবীজ কেনার জন্য নয়টি রাজ্যের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। কৃষি বিশ্ব ২০১৮ সম্মেলনের পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমরা মূল্য সহায়তা প্রকল্পের অধীনে ডালশস্য ও তৈলবীজ সংগ্রহের জন্য নয়টি রাজ্যকে অনুমতি দিয়েছি"। তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু সহ নয়টি রাজ্যের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

সিং বলেন, কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই ক্রয় শুরু করেছে। সরকারী সংস্থাগুলির সাথে ফসলের বিশাল তালিকা এবং প্রত্যাশিত উত্তম উৎপাদন জন্য দেশের কয়েকটা অঞ্চলে ডালশস্য ও তৈলবীজগুলির দাম কমেছে। সরকার এই খরিফ মরসুমে ৯.২২ মিলিয়ন টন ডালশস্য ও ২২.২ মিলিয়ন টন তৈলবীজ হবে বলে অনুমান করেছে।

ভারত সরকারের খাদ্য কর্পোরেশন এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NAFED) নতুন প্রকল্পের অধীনে ৪৪ লাখ টন তৈলবীজ ও ডালশস্য সংগ্রহ করবে - প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষন আভিযান (PM-AAASHA) – যার লক্ষ্য হল কৃষকরা যাতে তাদের শস্যের ভালো দাম পায়। ক্রয়ের জন্য মন্ত্রীপরিষদ ইতিমধ্যে ১৫,৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত গ্যারান্টি অনুমোদন করেছে।

আরও পড়ুন উদ্বৃত্ত ফল-সবজিকে কাজে লাগাবে চিনের রঙিন ও মুচমুচে থ্রি-ডি স্ন্যাক্স

“ক্রয় শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই আমরা প্রায় ৫০,০০০ টন ডালশস্য ও তৈলবীজ সংগ্রহ করেছি। আমরা গুজরাট, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি,” বলেছেন সঞ্জীব কুমার চাড্ডা (এমডি NAFED)। ৪৪ লাখ টন ক্রয়ের মধ্যে, ৭০% NAFED এবং বাকিটা FCI দ্বারা সংগ্রহ করা হবে। চাড্ডা বলেন, ২৬ লাখ টন তৈলবীজ - সয়াবিন, চিনাবাদাম এবং সূর্যমুখী - এবং ১৮ লাখ টন মুগ, উরাদ ও তর ও ২৬ মিলিয়ন টন তৈলবীজ কেনা হবে।

“আমরা বিদ্যমান নিবন্ধিত কৃষকদের কাছ থেকে তৈলবীজ ও ডালশস্য সংগ্রহ করব। কৃষকরা নিজেদের রাজ্যে নিবন্ধন করার জন্য তাদের রাজ্য সরকার কর্তৃক অবহিত নিকটতম ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি করা যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় গুদাম কর্পোরেশন ও কেন্দ্রীয় গুদাম কর্পোরেশন স্টোরেজ স্পেস সরবরাহ করতে যাচ্ছে। গত বছর ৫৫ লাখ টন ক্রয়ের মধ্যে আমরা ২০ লাখ টন বিক্রি করেছি, তাই আমাদের পর্যাপ্ত স্থান রয়েছে,” জানান কর্মকর্তারা।

- দেবাশীষ চক্রবর্তী

English Summary: PMs Asha prakalpa
Published on: 05 January 2019, 05:01 IST