কৃষিজাগরন ডেস্কঃ হিমঘর থেকে আলু নিতে আসছেন না কৃষকরা। অথচ পেরিয়ে গিয়েছে সময়সীমা। কারণ? ক্ষতির আশঙ্কা।চাষ করতে যা খরচ হয়েছে ফসল এই সময় বিক্রি করলে সেই টাকা উঠবে না তাই কৃষকরা আলু বাধ্য হয়ে হিমঘর থেকে আলু বের করছে না। কিন্তু হিমঘর কতৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পড়ে থাকা আলু বের করে দেয়। এখন নিলামের অপেক্ষা।
পুজোর আগে থেকেই আলুর দাম পড়তে শুরু করেছিল। শনিবার পূর্ব বর্ধমানে বস্তা প্রতি আলুর দাম ছিল ৩০০-৩৫০ টাকা। অথচ, আলু মজুত রাখার সময়ে এই আলুরই দাম ছিল বস্তা প্রতি প্রায় ৮০০ টাকা। কিন্তু, বিক্রি না হওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন হিমঘরে এখনও মজুতের ৬ শতাংশের আলু পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শীত নেই বঙ্গে ,ক্ষতির আশঙ্কা ফুলকপি চাষীদের
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ছোট আলু বাজারে তেমন বিক্রি নেই। হিমঘরের ভাড়া মিটিয়ে আলু কেনার মত ব্যবসাদারও নেই। তাই বেশ কিছু দিন ধরে ওই আলু বিক্রি হচ্ছে না। সময়সীমা পেরলেও মজুতকারী চাষীরা হিমঘরে আলু নিতে আসছেন না। ফলে সোমবার থেকে আলু নিলামে তোলার প্রস্তুতি নেবে হিমঘরের মালিক পক্ষ।
নভেম্বরের শেষেই হিমঘর থেকে আলু বের করে নেওয়ার কথা ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার সেই মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়ে দেয়। শনিবার সেই মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিকে আলুর দাম না বাড়ায় হিমঘর থেকে আলু বের করতে নারাজ চাষীরা।
তাঁদের বক্তব্য, গত মরসুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দু'বার আলু চাষ হয়েছিল। ফলে আলুর গুণমান তুলনায় খারাপ হয়। চাষেও কিছুটা দেরি হয়। সেই সুযোগে এক দিকে যেমন ভিনরাজ্যে আলু রফতানি কমে গিয়েছিল, তেমনই উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশার মতো রাজ্য থেকে আলু জেলার বাজারে ঢুকে পড়েছিল। তাই হিমঘরে মজুত আলু বাজারে কম বিক্রি হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার থেকেই মজুত আলু হিমঘর থেকে বার করে বাইরে শেডের নীচে রাখা শুরু হয়েছে। মজুতকারীরা আলু নিতে অস্বীকার করলে নিয়ম মেনে তা নিলাম করা হবে বলে জানিয়েছেন হিমঘর মালিকেরা। জেলার ৯৯টি হিমঘরে ১১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৫০ টন আলু মজুত হয়েছিল। শনিবার পর্যন্ত জেলার হিমঘরগুলিতে ৭০,০৯৫ টন আলু মজুত ছিল।
কৃষি বিপনন দফতর সুত্রে খবর, হিমঘরের আচ্ছাদনেই আরও ১০দিন ওই আলুগুলি রাখা থাকবে । নতুন আলু এখনও সে ভাবে বাজারে আসেনি। তাই বাড়তি আলু বিক্রি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।