উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: আলুর বন্ডের দাবিতে ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার গ্রামের কয়েক শতাধিক আলু চাষি ডুয়ার্স কোল্ড স্টোরেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। আলু চাষীদের দাবি, প্রকৃত কৃষকেরা আলু রাখার বন্ড পাচ্ছেন না, কিন্তু মোটা টাকার বিনিময়ে সেই বন্ড পৌঁছে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের হাতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ আলু চাষিরা। শুক্রবার সকাল থেকে ডুয়ার্স কোল্ড স্টোরেজের গেটের সামনে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও বন্ড পাচ্ছেন না এই গ্রামের আলু চাষিরা।
বন্ড না পেয়ে গেটের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকশো আলু চাষি । এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে আলু চাষিরা বেশ কিছুটা স্বাভাবিক হন। এরপর চাষিদের বিক্ষোভের জেরে হিমঘর কর্তৃপক্ষ চূড়াভান্ডার গ্রামের আলু চাষীদের হাতে ৫০ প্যাকেটের টোকেন তুলে দেওয়া হয়। এদিকে অনেক কৃষকের অভিযোগ তারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও তাদের হাতে ৫০ প্যাকেটের টোকেন হাতে পৌঁছায়নি। অনেক চাষীদের হাতে টোকেন না মেলায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে ফিরে যেতে হয়।
একজন আলু চাষি অখিল মন্ডল বলেন, "চাষিদের জন্যই এই হিমঘরটি তৈরি করা হয়েছে তার সত্ত্বেও চাষিরা সঠিকভাবে বন্ড পাচ্ছেন না। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু এভাবে চাষীদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে আলুর দাম নেই। "
আরেকজন আলু চাষী ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় বলেন, "৫০ প্যাকেটের বন্ড দিয়ে কোনো লাভ নেই। একজন কৃষক ১০-১২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। সেই অনুযায়ী ৫০ প্যাকেট আলু স্টোরেজে রাখা হলে বাকি আলুগুলো কি জমিতে পৌঁছে নষ্ট করবে নাকি গরু ছাগলকে খাওয়াবে।"
আরও পড়ুনঃ বাংলাতেও হোক পোস্তর চাষ,অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
হিমঘর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, বিভিন্ন কোটা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরাও যাতে ঘরে আলু রাখতে পারেন, তা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আর সেই অনুযায়ী চুড়াভান্ডারের আলু চাষীদের হাতে ৫০ প্যাকেটের টোকেন দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক দিনের মধ্যে সেই টোকেন অনুযায়ী আলুর বন্ড দেওয়া হবে।