বাজারে অন্যান্য সবজীর মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি কয়েকদিন ধরেই উচ্চ মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে আলু। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আলুর নাবিধসা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বাঁকুড়া জেলার কৃষি দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, বাঁকুড়ায় এবার মোট ৫২ হাজার ২৩৪ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই বিষ্ণুপুর মহকুমায়। তবে রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত এলাকাও ক্রমবর্ধমান। আধিকারিক সুশান্ত মহাপাত্র জানিয়েছেন, “এ রকম প্রতিকূল আবহাওয়ায় নাবিধসা রোগের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে”। এই রোগের প্রতিরোধ এবং প্রতিকার নিয়ে বিভিন্ন পন্থায় সমগ্র জেলা জুড়েই সচেতনতা চলছে। নাবিধসা রোগ প্রতিকারের জন্যে, আক্রান্ত জমিতে সেচ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
এ বছরে এখনও ঠাণ্ডার প্রকোপ থাকায়, রাতে ঘন কুয়াশা আর সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে এই রোগের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে চাষিদের আশঙ্কা। বৃষ্টির পর রোদ উঠলেও, এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির প্রভাবে, অর্থাৎ এ ধরণের আবহাওয়ায় ছত্রাকঘটিত এই রোগটি আরও বাড়বে বলে কৃষি দপ্তরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ বৃষ্টির জল মাটির তলায় পৌঁছলে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে চাষিরা অবস্থা দিশেহারা। তাই এর মূল্য সম্প্রতি হ্রাসের আশা ত দুরস্ত, বরং চাষিদের দিশেহারা অবস্থা এবং তাদের ক্ষতির পরিমাণের কথা ভাবলেই, শিউরে উঠতে হচ্ছে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)