রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) সরাসরি বাজারে নয়, FPO-র মাধ্যমে বেশি দাম পেতে কী করবেন? পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা
Updated on: 19 February, 2019 12:12 PM IST

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রাজ্যে এবছর আলুর ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলে বাজারে আলুর দাম কম থাকবে। আলুর দাম পড়ে গেলে চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। হিমঘরে যে আলু সংরক্ষণ করা হবে, তা এখনও জমি থেকে উঠতে শুরু করেনি। নতুন আলু এখন সরাসরি বাজারে বিক্রির জন্য আসছে। কিন্তু তার দামও বেশি নয়। চাষিরা কেজি প্রতি তিন টাকার আশপাশে দাম পাচ্ছেন। বিপুল পরিমাণে আলু যখন উঠতে শুরু করবে, তখন পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে সেটাই এখন প্রশ্ন।

গত মরশুমে সরকারি হিসেবে রাজ্যে ৯০ লক্ষ টনের মতো আলু উৎপাদন হয়েছিল। এবছর উৎপাদন ১ কোটি ২০ লক্ষ টন ছুঁতে পারে। এবার আবহাওয়া পুরোপুরি আলু চাষের অনুকূল ছিল। পুরো শীতের মরশুম জুড়ে টানা ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টি, কুয়াশা বিশেষ হয়নি। অল্পবিস্তর যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে আলু চাষে সেচের সুবিধা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সহ অন্য প্রধান আলু উৎপাদক রাজ্যগুলিতেও ভালো ফলন হয়েছে।

রাজ্যের প্রায় সাড়ে চারশো হিমঘর আছে, তাতে সব মিলিয়ে ৭০ লক্ষ টন আলু মজুত করা যায়। মে মাসে হিমঘর খোলার আগে কিছু পরিমাণ আলু ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে হিমঘর মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। গত মরশুমে চাষিরা আলুর ভালো দাম পেয়েছিলেন। নতুন আলু ওঠার পর গত বছর মার্চ মাসে চাষিরা ৮-৯ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে পেরেছিলেন। যদিও ওই আলু সংরক্ষণ করে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে, কারণ আলুর দাম গত বছর বিশেষ ওঠেনি। আলুর ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা অনেক হিমঘর মালিক পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে তাঁরা এবার নতুন ঋণ নাও পেতে পারেন। 

এই পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে আলু কেনার দাবি উঠতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠনও চাইছে, সরকার সংগ্রহ মূল্য ধার্য করে আলু কিনে হিমঘরে সংরক্ষণ করুক। এতে চাষিদেরও উপকার হবে।  সরকারি উদ্যোগে আলু কেনার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। সরকারি সংস্থাগুলিকে এর জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময় একবার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আলু কিনে ব্যাপক লোকসান হয়েছিল। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই ঋণ পরিশোধ করতে অনেক সময় লেগেছে। তাই চাষি ভাইদের কাছে অনুরোধ আলু চাষের পরিমান কিছুটা কমিয়ে তারা ডাল শস্য বা নতুন ধরনের শাক-সবজি বা ফলের চাষ করতে পারেন। এতে শস্য পর্যায়ের পরিবর্তনে জমির মান ও উৎপাদনশিলতা দুই  বাড়বে।

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: Potato production increasing due to positive weather
Published on: 19 February 2019, 12:12 IST