জলবায়ু পরিবর্তন সবাইকে আঘাত করে তবে ভারতের গরীবরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গত বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি উত্পাদনশীলতা এবং কৃষি আয়কে বিপরীতভাবে প্রভাবিত করে। K.N. Ninan, সেন্টার ফর ইকোনমিক্স -এর তরফ থেকে বিশ্লেষন করে জানান কিভাবে ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন দারিদ্র্যকে বাড়িয়ে তুলবে। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস দ্বারা পরিচালিত গৃহ ভোক্তা ব্যয় জরিপের তথ্য ব্যবহার করে তিনি অনুমান করেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দারিদ্র্যের নিচে বসবাসকারীর জনসংখ্যা বাড়বে এবং দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারীদের অবস্থার আরও অবনতি হবে।
নিনানের মতে, গ্রামীণ দারিদ্র্যের পরিমাণ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং খাদ্যের মূল্যের ওপর নির্ভর করে। কৃষি উৎপাদন কৃষি আয় নির্ধারণ করে, যখন খাদ্যের দাম দরিদ্রদের খরচের ঝুঁকির একটি বিশাল অংশ নির্ধারণ করে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, দুটি কারণকে প্রভাবিত করে: ১) কৃষি উত্পাদনশীলতা হ্রাস এবং খাদ্যের দাম বাড়া। উপরন্তু, জলবায়ু পরিবর্তন জমি এবং অন্যান্য পরিবেশগত সম্পদে জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন কৃষি রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকার 1,500 কোটি টাকার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে
নিনান বলেন, এই সবের জন্য গ্রামীণ আয়কে আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে টেনে আনবে। তিনি বলেন যে ১৯৯১ সালে সংস্কারের পর থেকে গ্রামীণ দারিদ্র্য নিরসনে ভারত দ্বারা অর্জিত সাফল্য জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিপদের মুখে পড়েছে। অধিকন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সামাজিক সূচকগুলিতে ভারতের কর্মক্ষমতা আরও খারাপ হতে পারে এবং উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
এটি রোধ করার জন্য, তিনি সরকারকে আরও ভালো সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেন এবং গ্রামীণ দরিদ্রদের আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তিনি পরামর্শ দেন যে ভারতে চাষ পদ্ধতিগুলি আরও ভাল করতে হবে এবং উপযুক্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো স্থিতিশীল করতে হবে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী