ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে পঙ্গপালের দল৷ করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই এবার পঙ্গপালের এই হামলায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আমজনতা, বিশেষ করে কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকবন্ধুদের৷ রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে পঙ্গপালের (Locust Attack) হামলা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশের পাশাপাশি সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi).
তিনি জানান, একটা ক্ষুদ্র জীবও ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে৷ পঙ্গপালের এই হামলাতে ক্ষতিগ্রস্ত সকল রাজ্যকে সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত বলেও জানান তিনি৷ সেই সঙ্গে এই পঙ্গপালের দলকে মোকাবিলা করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যও যে নেওয়া হচ্ছে, যা অচিরেই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনবে, একথাও জানান তিনি৷
প্রসঙ্গত, পঙ্গপালের এই হামলায় (Locust Attack) সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম রাজস্থান, পঞ্চাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগঢ়৷ ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েই এই সঙ্কট থেকে দেশকে রক্ষা করতে সচেষ্ট৷ কারণ, বর্ষাকাল আসন্ন, তার আগে এদের প্রতিহত করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে৷
জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের দৌসা, উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি এবং মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পঙ্গপালের আক্রমণে৷ এদের ঠেকাতে আতসবাজি, ড্রাম বাজানোর ওপর যেমন জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনই ড্রোনের সাহায্যে কীটনাশক ছড়িয়ে এদের মোকাবিলার চেষ্টার ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
রবিবার জয়পুরে এই পঙ্গপাল দমনে দমকলবাহিনী কীটনাশক ছড়ায় রামগড় এলাকায়৷ পাক সীমান্ত দিয়ে রাজস্থানে প্রবেশ করা এই পঙ্গপালদের প্রতিহত করা বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে৷ গত ২৭ বছরে এটা সবথেকে বড় আক্রমণ বলে দাবি করা হচ্ছে৷
ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে, ঝাড়খন্ডে সব জেলায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা (Red Alert) জারি করা হয়েছে৷ ঝাড়খন্ড এগ্রিকালচার সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিকি জানান, রাজ্যের ২৪ টি জেলাতেই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ ছত্তিশগঢ়, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও কড়া করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে৷
বর্ষা চ্যাটার্জি