কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ১০০ বছর বয়সে মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন মোদী। মায়ের দেহটা কাঁধে নেওয়ার সময় হাতটা কেঁপে কেঁপে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু দুনিয়ার নিয়ম মেনে মা'কে শেষবিদায় জানাতে হল। গান্ধীনগরের শ্মশানে মায়ের মুখাগ্নিও করেন প্রধানমন্ত্রী।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন থেকে জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক, শুক্রবার কলকাতায় ঠাসা কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সকল ১০টা নাগাদ আসার কথা ছিল শহরে। কিন্তু শুক্রবার ভোরেই মা হীরাবেন মোদীর প্রয়াণ হয়েছে।
মাতৃবিয়োগের খবর পেয়েই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ।
আরও পড়ুনঃ রাহুলের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার আরজি কংগ্রেসের
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী শোক প্রকাশ করে টুইটারে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা, শ্রীমতি হীরাবেনের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে আমি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
আরও পড়ুনঃ Subrata Saha: প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, শোক প্রকাশ করে লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা শ্রদ্ধেয়া হীরাবেন মোদীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি শুক্রবার ভোরে আমদাবাদে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। শতায়ু হীরাবেন দেবী ছিলেন ভালোবাসা, ধৈর্য ও আস্থার প্রতীক। তিনি শিশুদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। আমি শোক সন্তপ্ত নরেন্দ্র মোদীজিকে আমার আন্তরীক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’।
মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই দিল্লি থেকে আমদাবাদ বিমানবন্দরে চলে আসেন মোদী। তারপর গাড়িতে চেপে সোজা চলে আসেন ছোটোভাই পঙ্কজের বাড়িতে। সেখানেই মোদীর মায়ের মরদেহ রাখা হয়েছিল। ফুল দিয়ে মা'কে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ভাইদের সঙ্গে কাঁধে মায়ের মরদেহ তুলে নেন। খালি পায়ে আসতে-আসতে হেঁটে এসে শববাহী যানে মা'কে রেখে দেন মোদী। মায়ের পাশেই বসে থাকেন। একটা মুহূর্তও মা'কে ছেড়ে থাকতে চাননি।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর মা হীরাবেন তাঁকে এবং ভাইবোনদের মানুষ করার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছিলেন। ছেলেদের মানুষ করতে হীরাবেনকে দিনমজুর এবং গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতে হয়েছিল। এ ছাড়াও বাড়ির যাবতীয় কাজ হীরাবেন নিপুণ হাতে করতেন বলেও জানিয়েছিলেন মোদী।