এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 20 July, 2021 12:30 PM IST
Organic fertilizer (image credit- Google)

বাজারে এলো জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি করা ‘কৃষক বন্ধু জৈব সার’ ব্র্যান্ডিংয়ে  জৈব সার এল বাজারে। পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার এক নম্বর ব্লকের জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এই জৈব সার তৈরি করে নজর কেড়েছে জেলায়। জিতুজুড়ি নির্মল উদ্যান নামে জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কঠিন বর্জ্য নিরাপদ নিষ্কাশনের প্রকল্প থেকে এই ‘কৃষক বন্ধু জৈব সার তৈরি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কেঁচো সারও (vermi compost)।

জেলাজুড়ে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে এই জৈব সার ব্যবহৃত হচ্ছে। মানবাজার এক নম্বর ব্লকের একশো দিনের কাজে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এই সার ব্যবহার করছে। এছাড়া সামাজিক বনসৃজনের কাজেও এই সার ব্যবহার করছে বনদপ্তর। পুরুলিয়া শহরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের বাইরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলেও এই সার বিক্রি হচ্ছে।

রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের হাত ধরে এই জৈব সার বাজারে আসে। এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্তরকমভাবে সাহায্য করছে মানবাজার এক নম্বর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি। বিডিও মোনাজ কুমার পাহাড়ি বলেন, “জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই কাজ প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন -SSC Constable Recruitment 2021: ২৫২৭১ শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগ, দেখুন বিস্তারিত তথ্য

কৃষক বন্ধু জৈবসার ইতিমধ্যেই বাজার ধরতে শুরু করেছে। সরকারি প্রকল্পের কাজেও এই সার ব্যবহার করা হচ্ছে।”২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এই কঠিন বর্জ্য নিরাপদ নিষ্কাশন প্রকল্পের উদ্বোধন হয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর হাত ধরে। ওই উদ্বোধনের ১ বছরের আগেই জৈব সার বাজারে চলে আসায় মন্ত্রী ওই গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাহবা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ভাল কাজ করছে। তাদের তৈরি করা জৈব সার উন্নত মানের।”

কৃষক বন্ধু জৈব সার:

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র মেলার পরেই তারা ওই সার বাজারে এনেছেন। ৫০ কেজি, ২৫ কেজি, ৫ কেজি এবং ১ কেজি সারের প্যাকেট করা হয়েছে। প্যাকেটে লেখা রয়েছে, “পুরুলিয়া জেলার কৃষকের স্বপ্নপূরণের সাথী কৃষক বন্ধু জৈব সার নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ।” ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক রাজু দাস বলেন, “ধান, গম, ফুল, ফল টমেটো, সবজি চাষের জন্য এই সার ব্যবহার করা যাবে। বাজারে জৈব সারের যা দাম তার থেকে অনেকটাই কম দামে আমরা এই সার বিক্রি করছি।” ৫০ কেজি প্যাকেটের দাম রাখা হয়েছে ৬০০ টাকা। ২৫ কেজির দাম ৩০০ টাকা। পাঁচ কেজির প্যাকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকায়। ১২ টাকায় মিলছে এক কেজির প্যাকেটও।

সার উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন সকালে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫০০টি বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়েছে। একটি বালতিতে জৈব আর একটি বালতিতে অজৈব পদার্থ রাখার অনুরোধ করেছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। তারপর ফি দিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা ই-রিক্সার সাহায্যে বাড়ি বাড়ি থেকে সেই বালতিতে থাকা বর্জ্য গুলি সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। এরপর প্রকল্প স্থলে গিয়ে জৈব পদার্থ থেকে জৈব সার যেমন তৈরি হচ্ছে। তেমনই অজৈব পদার্থ গুলিকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নানাভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা হস্তশিল্প তৈরিতেও ব্যবহার করছে। এভাবেই আয়ের মুখ দেখছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। সাথে কৃষকদেরও আর্থিক উন্নতি ঘটেছে এবং গ্রামীণ উন্নতিরও বিকাশ ঘটে ব্যাপকভাবে |

আরও পড়ুন - WB Madhyamik Result 2021: কাল মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, কোথায় কিভাবে দেখা যাবে?

English Summary: Purulia’s Krishak-Bandhu Fertilizer: "Krishak-Bandhu Fertilizer" being used in Purulia market
Published on: 20 July 2021, 12:30 IST