নিউ দিল্লিঃ সবকিছু ঠিক থাকলে আজ সোমবার মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রাজঘাট পরিদর্শনে যাবেন রাহুল গান্ধী।মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও একাধিক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করার কথা আছে রাহুল গান্ধীর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্মৃতিসৌধ বীর ভূমি , ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ শক্তি স্থল এবং জওহরলাল নেহরুর স্মৃতিসৌধ শান্তি ভান পরিদর্শন করবেন তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর স্মৃতিসৌধ বিজয় ঘাটও পরিদর্শন করার কথা আছে রাহুল গান্ধীর।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে শনিবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। দিল্লিতে দলের কর্মসূচিতে পা মিলিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা। করোনা নিয়ে আতঙ্কের মাঝেই রাজধানীতে এই পদযাত্রা ঘিরে ফের তুঙ্গে বিজেপি-কংগ্রেস তরজা। কংগ্রেসের কর্মসূচিতে করোনা বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আগেই রাহুল গান্ধীকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য ।
আরও পড়ুনঃ নেই শীতে! তবে কি নলেন গুড়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত ভোজনবিলাসীরা?
কংগ্রেসের কর্মসূচি রুখতেই এই তৎপরতা বলে সুর চড়ায় কংগ্রেস। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' তে কংগ্রেস করোনা বিধি মানছে না বলে পালটা সুর চড়ায় পদ্মশিবির। দিল্লি পৌঁছে এই যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘দেশের সাধারণ মানুষ এখন ভালবাসার কথা বলছে। প্রতিটি রাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই যাত্রায় যোগ দিয়েছে। আমি আরএসএস এবং বিজেপির লোকদের বলেছি যে, আমরা এখানে এসেছি আপনাদের ‘ঘৃণার বাজারে’ ‘ভালবাসার দোকান’ খুলতে। ওরা ঘৃণা ছড়ায় আর আমরা ভালবাসা।’’।
শনিবার সকালেই দিল্লিতে প্রবেশ করে এই যাত্রা। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই যাত্রায় এদিন যোগ দেন অধীর চৌধুরী, জয়রাম রমেশ, গৌরব গগৈ সহ একাধিক প্রথম সারির নেতারা। রাহুলের এই যাত্রায় অংশ নেন কাতারে কাতারে মানুষ, বদরপুর থেকে আশ্রমে এসে খানিক বিরতির পর আবার বিকেলে দিল্লির লালকেল্লার উদ্দশ্যে শুরু হয় যাত্রা। পরে শনিবার সন্ধ্যে নাগাদ দিল্লির লালকেল্লায় শেষ হয় এই পদযত্রা।
আরও পড়ুনঃ টমেটোর দাম প্রতি কেজি ১ টাকার নিচে, চাষিরা খরচও তুলতে পারছেন না
১৬ ডিসেম্বর কংগ্রেসের ‘ভারত জো়ড়ো যাত্রা’ ১০০ দিনে পা দিয়েছে।এদিকে বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটি উপলক্ষ্যে প্রায় ৯ দিন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। তাই ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা। ৩ জানুয়ারি পুনরায় সক্রিয় হবে রাহুলের এই পদ যাত্রা। উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব ঘুরে তা শেষ হবে জম্মু কাশ্মীরে।