কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ‘পদবি’ মামলায় বিরাট ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিলেন, শুক্রবার তাতেই সায় দিল গুজরাত হাই কোর্ট। 'সব মোদী চোর' মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন রাহুল। সেই মামলায় সাজা মুকুব ও অভিযোগ খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল। তবে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় গুজরাট হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্নাটকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'সব মোদীরা কেন চোর হয়?' তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, নীরব মোদী, ললিত মোদীকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে 'মোদী' পদবির সকলের অপমান হয়েছে বলে অবিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা করেছিলেন মোদী পদবির এক বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুনঃ ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সায়নী ঘোষ
আজ আদালত জানায়, রাহুল গান্ধীর সাজা মকুব করার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। নিম্ন আদালতের রায় ন্যায্য, যথার্থ এবং আইনানুগ।এর ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। সংশয় তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও। সেই সঙ্গে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছি’ দুর্যোগের দিন কি ঘটেছিল জানালেন মু্খ্যমন্ত্রী
গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন রাহুলকে। এরপর আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।এর জেরে সম্প্রতি দিল্লির সাংসদ বাংলোও ছাড়তে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে।