এবছর ভালো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায়, রাজ্যসরকার হেক্টর প্রতি ২৪৫০ কেজি হিসেবে প্রায় ৩৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৮৫.৭৫ লক্ষ টন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। খারিফ পরিকল্পনা অনুসারে কৃষিবিভাগ প্রায় ৪.৭৫ লক্ষ কুইন্ট্যাল সংশিত বীজ সরবরাহ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যেখানে কৃষকদের চাহিদা ১৭.৫ লক্ষ কুইন্ট্যাল। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হয় তবে কৃষি বিভাগের Seed Replacement Rate (SRR) ২৭.১৪ শতাংশ হবে যেখানে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা হল ৩৫ শতাংশ। উন্নত ও উচ্চফলনশীল বীজের অভাবে এবছর কৃষি বিভাগের SRR এর হার নিম্নগামী হবে, যেখানে প্রচুর খারিফ শস্য উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে সেই পরিমাণ উৎপাদন নাও হতে পারে। উড়িষ্যার রাজ্য সরকার পরিচালিত সংস্থা ওড়িশা রাজ্য বীজ নিগম (OSSC), যারা এই বীজ সংরক্ষণের কাজ হাতে নিয়েছিলো, তারা শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ লক্ষ কুইন্ট্যাল সংশিত বীজের সংরক্ষণ করতে পেরেছে বলে নিগম সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার direct benefit Transfer (DBT) scheme এর নিয়োগে অনেকটা দেরি করে ফেলেছে সেহেতু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নত মানের সার ও বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা গেছে, এই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই বীজের চাহিদা এই বছর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য বীজ নিগমের ঢিমেতালে কৃষকদের বীজের দাম মেটানোর প্রক্রিয়াকেই বীজ সংরক্ষণের ঘাটতির জন্য দায়ী করা হয়েছে। উড়িষ্যা সরকারের সাথে কৃষকদের যে মৌ সাক্ষর হয়েছিলো তাতে বলা ছিলো যে, OSSC কৃষকদের কাছ থেকে সংশিত বীজ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে মোট বীজমূল্যর ৬০ শতাংশ দাম চোকাবেন, কিন্তু বীজ গবেষণাগারের প্রাপ্ত খবর অনুসারে শেষ মূল্যপ্রদান করা হয় বীজ পাওয়ার প্রায় একমাস পরে। যাইহোক, নিগমের পক্ষ থেকে জানা গেছে যে তারা বীজ উৎপাদন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে গবেষণাগারের তালিকা অনুযায়ী বীজ উৎপাদকদের প্রাপ্যমূল্য দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও চাষীরা গত ডিসেম্বর মাস থেকেই নিয়মিত ভাবে বীজের সরবরাহ বজায় রেখেছে, এবং তারা মে মাস পর্যন্ত প্রাপ্যমূল্যের জন্য অপেক্ষাও করেছে, এর পরেও তারা যদি তাদের প্রাপ্য না পায় তাহলে বিষয়টি তারা বিধানসভায় উত্থাপন করবেন।
- প্রদীপ পাল