একবিংশ শতাব্দী হল আমাদের কাছে জ্ঞানের, যোগাযোগের, ও তথ্য বিনিময়ের শতাব্দী-এবং এই পদ্ধতিতেই দেশের মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হতে চলেছে আগামী দিনে। তবে এক্ষেত্রে নাগরিকদের বিশেষভাবে সজাগ থাকতে হবে এই বিষয়ে যে, সরকার দেশের নাগরিক স্বার্থ বজায় রাখার জন্য কী কী নীতি প্রযুক্ত করছে বা করতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ইউনিয়ন মিনিস্টার ফর কেমিক্যালস এন্ড ফার্টিলাইজারস এন্ড পার্লামেন্টারি এফেয়ার্স শ্রী অনন্তকুমার একটি সভায় পৌরোহিত্য করার সময় বলেন বর্তমানে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এই সভায় কেন্দ্রীয় পরিবহণ ও সড়ক, জাহাজ, রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ এল. মান্ডভিয়া সহকারী সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাথমিক লক্ষ্য, মানুষের উন্নয়নের স্বার্থেই মানুষকে শিক্ষিত, সংযুক্ত ও উন্নীত হতে হবে। শ্রী অনন্থকুমার সেই সভায় উপস্থিত সকলকে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশী করে প্রতিভাত করতে মন্ত্রকের সাথে যুক্ত সকল বিভাগ, সংগঠন ও PSU-কে নির্দেশ দেন, তিনি বলেছেন এমনভাবে বিষয়টিকে প্রতিভাত করতে হবে যাতে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারি নয়া নীতির বার্তা পৌঁছে যায়।
ভারতীয়দের সোশ্যাল মিডিয়ার সম্বন্ধে জ্ঞান খুবই অপর্যাপ্ত, ঠিক সেই কারনেই সরকারের দ্বারা গৃহীত কিছু জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ যেমন নিমুরিয়া, হাঁটু ও হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনজনিত চিকিৎসার মূল্য হ্রাস, প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনা ইত্যাদি বিষয়সমূহ মানুষের কাছে অজ্ঞাত। শ্রী অনন্থকুমার বলেছেন সামাজিক কাজের মূল্যায়ন তখনি ভালোভাবে সম্ভব যখন মানুষের কাছে সেই সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে জানকারি থাকবে, আর এই কাজটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া অন্যভাবে হওয়া সম্ভবপর নয়।
সভায় উপস্থিত মানুষের কাছে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী মান্দাভিয়া বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এমনই একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে মানুষ দেখতে পারে ও বুঝতে পারে, এবং এই মাধ্যম খুব তাড়াতাড়ি কোনো বিশেষ বিষয়কে মানুষের কাছে পেশ করতে পারে। সেই কারণে তিনি সমগ্র দলকে পরামর্শ দেন যাতে তারা গভর্মেন্ট স্কিমগুলিকে খুব সহজভাবে সাধারণ মানুষের কাছে বোধোগম্য করতে পারে এবং সরকারের প্রস্তাবিত নীতিগুলি খুব ছোটোর মধ্যে অনেক বেশী তথ্য দিতে পারে ,সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে। মন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দেন সরকারি প্রস্তাবিত নীতি সমূহের সামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করে যতখানি সম্ভব ছোট করতে যাতে বিষয়টি সহজ করে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা যায়। এতে মানুষের ক্ষেত্রে অবহিত হতে সুবিধা হবে যা সরকারি স্তরেও সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভাবা হচ্ছে। তার মতে বড় বড় নীতিকে যদি মানুষের অনুধাবনযোগ্যি না হল, বা মানুষ যদি কোনো সুবিধাই না পেল তাহলে এই সব নীতির সাফল্য কী করে আশা করা যাবে।
শ্রী অনন্থকুমার তাঁর বিভাগীয় প্রধান আধিকারিকদের সরকারি ওয়েবসাইটগুলিকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে বলেন যাতে সরকারি নীতিগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে সুন্দরভাবে প্রতিনিয়ত ধারাবাহিকভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং এই সব বিষয় গুলি প্রতিদিন কত মানুষের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৌঁছতে পারছে তারও একটা হিসাব রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
- প্রদীপ পাল