অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ মহাদেশের দুটি রাজ্যের স্ট্রবেরী বাজারে ছাপা মেরে স্ট্রবেরীর মধ্যে সেলাই সূচের হদিস পেয়েছে, যা সেই দেশের জনমানসে স্বাস্থ্যহানির ভয় ছড়িয়েছে এবং সেই সমস্ত রাজ্যের সমস্ত স্ট্রবেরী চাষিদের উৎপাদিত সমস্ত স্ট্রবেরী ফেলে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সময় অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর স্ট্রবেরী উৎপাদিত হয়ে থাকে।
পুলিশের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, স্ট্রবেরীতে সূচের উপস্থিতির ব্যাপারে তারা দুটি পৃথক রিপোর্ট পেয়েছে, একটি সাউথ অস্ট্রলিয়ার মেয়ের কাছ থেকে আর অপরটি পশ্চিম অস্ট্রলিয়ার একজন বাসিন্দার কাছ থেকে। পুলিশের রিপোর্ট অনুসারে অস্ট্রেলিয়ায় উৎপাদিত ৭ রকমের স্ট্রবেরী ব্র্যান্ডে সূচ বা পিনের সাহায্যে ভেজাল রঙ মেশানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দেশের সমস্ত মানুষকে ফল গোটা না খেয়ে কেটে খাবার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্যুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মিঃ ইয়ান স্টিউয়ার্ট বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর বলেছেন, এখনো পর্যন্ত এটা পরিষ্কার নয় যে এই ভেজালের ব্যাপারে কোনো একজন ব্যক্তি জড়িয়ে আছে না অনেকে পৃথক পৃথক ভাবে জড়িয়ে আছে। এই ক্যুইন্সল্যান্ড থেকেই প্রথম সূচের মাধ্যমে ভেজাল মেশানোর খররটা ছড়ায়।
খবর রটে যাবার পর থেকে নিউজিল্যান্ডের দুটি বড় সুপারমার্কেট অনির্দিষ্টকালের জন্য অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রবেরীর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কথা অনুযায়ী বেশীরভাগ সংক্রমিত ফল রপ্তানি হয়ে থাকে ক্যুইন্সল্যান্ডের সরবরাহকারীদের কাছ থেকে। এই ভেজালের খবর ও কারা এই স্ট্রবেরীতে সূচ ঢোকানোর কাজটা করছে তা জানানোর জন্য আগের সপ্তাহে ক্যুইন্সল্যান্ডের সরকারের তরফ থেকে ১০০০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়।
শুধু স্ট্রবেরীই নয়, এই ধরণের ব্যাপার কলা ও আপেলেও ঘটে চলেছে, সুতরাং মানুষের মধ্যে ফল খাওয়ার ব্যাপারে যে একটা বিশাল ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
- প্রদীপ পাল