বুধবার থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকারি ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। ৩০ জুন থেকেই চালু হবে এই প্রকল্প।
রাজ্যে (West Bengal) বিধানসভা ভোটের প্রচারেই ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি ক্রেডিট কার্ডের ঘোষণা করেছিলেন মমতা। ভোটের ফল ঘোষণার ২ মাসের মধ্যেই প্রকল্পটি (Student Credit Card Scheme) চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কয়েক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে দেওয়া হবে এই সুবিধা |
জেনে নিন আবেদনের শর্ত (Conditions of application):
১) ক্লাস টেন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা নিতে পারবেন। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তার জন্য কোনও গ্যারেন্টার লাগবে না। সরকার গ্যারেন্টার হবে।
২) দশম শ্রেণি থেকে থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত এবং স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, ডাক্তারি, গবেষণা সবেতেই এই ঋণের জন্য আবেদন জানানো যেতে পারে।
৩) ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা ৪০ বছর।
৪) এই টাকায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাভিত্তিক পাঠ্যক্রম, ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম, ডক্টরাল এবং পোস্ট ডক্টরাল স্তরে গবেষণার খরচ চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন মমতা। দেশে তো বটেই বিদেশের প্রতিষ্ঠানেও এই ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে পড়াশোনা করা যাবে।
আরও পড়ুন - Block Group-C Recruitment: কর্মী নিয়োগ চলছে বিডিও কর্মী অফিসে
৫) রাজ্যের বাসিন্দা, বা ১০ বছর বাস করেছেন এমন পড়ুয়ারাই এই ঋণ পেতে পারেন।
৬) এই ঋণের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে। ছাত্রছাত্রীর ঋণের ক্ষেত্রে কোনও গ্যারেন্টার লাগবে না। গ্যারান্টার হবে সরকারই |
৭) অনেকটা ব্যাঙ্ক ঋণের ধাঁচেই চাকরি পাওয়ার এক বছর পরে এই টাকা শোধ দেওয়া শুরু করতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। ঋণ নেওয়ার ১৫ বছর পর সফ্ট লোন হিসাবে ধার শোধ করতে হবে বলে জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্রেডিট কার্ডের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আর ছেলে মেয়ের পড়াশোনার জন্য ঘরবাড়ি বেচতে হবে না কোনো বাবা-মাকে | ছাত্র ছাত্রীরা এ রাজ্যের গর্ব। রাজ্য সরকার তাদের পাশে আছে। দশম শ্রেণিতে ১২ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে এই রাজ্যে। দ্বাদশে ৯.৫ লক্ষ পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন। এই পরিসংখ্যান জানিয়ে মমতা বলেছেন, "ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্প আছে। সংখ্যালঘুদের জন্য ঐক্যশ্রী, এসসি এসটির জন্য শিক্ষাশ্রী আছে। এ বার এই প্রকল্পও আনা হল। এই প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে আশাবাদী রাজ্য |
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - Railway Ticket Seller Recruitment: ভারতীয় রেলে নিয়োগ চলছে টিকিট সেলার পদে