কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে ২৮ জুন এক নোটিসে জানানো হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে দেশ জুড়ে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই রাজ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে একাধিক কড়া বিধি লাগু হয়েছে। জুলাই থেকেই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্লাস্টিকের দ্রব্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতে প্রতি বছর ৩.৫ মিলিয়ন মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য উত্পাদন হয়। প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপে।
পরিবেশ মন্ত্রকের জারি করা বক্তব্যে বলা ছিল, ‘পলিস্টিরিন-সহ যে কোনও সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের উৎপাদন, বিক্রি, আমদানি, বিতরণ নিষিদ্ধ করা হবে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে।’ সেই নিয়মই জারি হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ মুক্তির আগেই কোটি টাকা আয় শাহরুখ খানের জওয়ান
কী এই ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’?
যে প্লাস্টিক এক বারের বেশি ব্যবহার করা যায় না বা উচিত নয়, তাকে ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ বলে।
‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ -এর তালিকা
ইয়ারবাড, প্লাস্টিকের বেলুনের লাঠি, পতাকা, ক্যান্ডি স্টিক, আইসক্রিম স্টিকস, পলিস্টেরিন ( থার্মোকল ), প্লেট, কাপ, গ্লাস, কাঁটাচামচ, চামচ, ছুরি, স্ট্র, ট্রে, মিষ্টির বাক্সের চারপাশে মোড়ানো বা প্যাকেজিং ফিল্ম, আমন্ত্রণপত্র, সিগারেটের প্যাকেট , ১০০ মাইক্রনের কম প্লাস্টিক বা পিভিসি ব্যানার এবং ১০০ মাইক্রনের কম পুরু ব্যানারগুলি SUP অথবা সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক হিসাবে চিহ্নিত হবে।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস
সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের দ্বারা পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুবার। প্লাস্টিক বিশ্ব পরিবেশের ক্ষেত্রে ত্রাস তৈরি হয়ে দাড়িয়েছে, তা বহু ক্ষেত্রে প্রমাণিত । ফলে দূষণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রসংশা যোগ্য।