ভারতকে নভেল করোনা থেকে রক্ষা করতে, রাজ্যের মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আজ সরকার একত্রিত হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার ২১ দিনের লকডাউন –এর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। এই লকডাউন সকলে সমর্থন করলেও চিন্তার ভাঁজ দরিদ্রদের কপালে। দিনমজুররা, শ্রমিকরা, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা মানুষরা ভাবছেন তাঁদের অন্ন-সংস্থানের কথা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের জন্যে প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সঙ্কট মোকাবিলা করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন দেওয়া হবে। কেউ যেন আতঙ্কিত না হন। করোনা মোকাবিলায় গণবন্টন ব্যবস্থার অধীনে বিনামূ্ল্যে চাল, ডাল দেওয়া হবে’। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেন তিনি। এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি আমরা সবাই। মুখ্যমন্ত্রী আজ আরও বলেন, ‘বাজারে গিয়ে ভিড় করবেন না, এতে সংক্রমণ ছড়াবে’। দূরত্ব রেখে বাজারে কেনাকাটার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও অকারণে বাড়িতে জিনিস মজুত করতে নিষেধ করেছেন তিনি।
কিন্তু কত পরিমাণে দেওয়া হবে এই রেশন? কারা তা পাবেন? এ নিয়ে অনেকের মনেই ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছিল। অনেকেই আবার মনে করছিলেন, টাকা দিয়েই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হবে। তবে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জানা গেছে, অন্তত পাঁচ কেজি করে রেশন পাবেন সকলেই। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই রেশন। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্যে মাসে ১০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন ৮ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষ। সাংবাদিক বৈঠকের পর পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে কলকাতা শহরের হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে বেরিয়ে প্রথমে আর জি কর হাসপাতাল, পরে কলকাতা মেডিক্যাল এবং এনআরএস -এ সারপ্রাইজ ভিসিট করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে উপস্থিত সুপার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বিশদে দেখেন তিনি।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে যেভাবে মানুষদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছেন, সকলের কথা বিবেচনা করে প্রকল্প প্রচলন করেছেন, তা সত্যই প্রশংসনীয়।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)