উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পাওয়ার জন্য় আখ চাষ বন্ধ করে দিচ্ছেন মুর্শিদাবাদের আখ চাষীরা। কয়েক দশক আগেও গ্রাম বাংলার একাধিক প্রান্তে আনাচে-কানাচে ভরে উঠত নতুন গুড়ের সুবাসে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও জলের অভাবে সেই সব এলাকাগুলোয় এক কথায় প্রায় বন্ধের পথে আখ চাষ।
আখ চাষ করতে চাষীদের সময় লাগে প্রায় দশ মাস । বীজ রোপণ থেকে আখ তৈরি পর্যন্ত কারও কারও এক বছর সময় লাগে। কৃষকদের দাবী অন্যান্য ফসলের থেকে প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রমের এই চাষ করে ও মিলছে না ন্যায্য মূল্য। চাষ করতে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দরকার সেই পারিশ্রমিকটুকুও পাচ্ছেন না আখ চাষিরা। আর সেই কারণেই কার্যত মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখন প্রায় বন্ধের পথে এই আখ চাষ।
আরও পড়ুনঃ বেশি আয় করতে হলে কম পরিশ্রমে বাড়ির বাগানেই চাষ করুন ভুট্টা
ফলে মুর্শিদাবাদের কৃষকরা এখন ধীরে ধীরে আখ চাষের বদলে সারা বছর ধরে চাষ করা যায় এমন ফসল চাষ করছেন । কারন সারা বছর আখ চাষ করে তাতে যে লাভ কৃষকদের হয় তার থেকে সারা বছর ধরে অন্য কিছু চাষ করলে তার দ্বিগুন লাভ পান কৃষকরা। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আখ চাষে বিমুখ হচ্ছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ বহু নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন আনেছা বেগম, সংসার চলে চিনা মুরগী পালনে
মূলত নদী তীরবর্তী জমিতে আখের চাষ করেন কৃষকরা। কৃষকরা বলেন , “পাঁচ বছর আগেও আখের চাষ করে কৃষকরা লাভ পেতেন। কিন্তু এখন আখের চাষ করে লাভ পান না তারা। কারণ একটা জমিতে আখের চাষ করলে সারাবছর আর কোন ফসলের চাষ করা যায় না। সারা বছর আখ চাষ করে ফাগুন চৈত্র মাসে থেকে যে গুড় তৈরি করা হয় তার ন্যায্য মজুরি পান না কৃষকরা । বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কিলো দরে গুড় মিলছে বাজারে। কৃষকদের কাছে পাইকারি দাম আরও কম। দেখা যায় সারা বছর এক বিঘা আখের পিছনে খরচ করে যা পাওয়া যায় তা খুবই কম। অপরদিকে দালালদের উৎপাতও কম নয়।