উৎপল রায়, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি জল্পেশ মেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাবা জল্পেশ হিমঘরের একাংশ ছাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকদের আলু। সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আলু চাষীদের নিয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন ময়নাগুড়ি মাড়োয়ালী জনকল্যাণ ভবনে।
এদিনের এই সিদ্ধান্তে উঠে আসে আলু চাষিরা কোনক্রমে সে আলু বের করবেন না তারা চাইছেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আলুর সঠিক মূল্য। সেই প্রশাসনিক বৈঠকে কৃষকদের একাংশ উপস্থিত না হওয়ায় তারা পরবর্তীকালে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য সময় নির্ধারিত করেন। সেদিনেই তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন কৃষকরা আলু বের করবেন বা আলুর সঠিক মূল্য নেবেন এবং আলুর কতটা দাম নির্ধারিত হবে সে বিষয়েও দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় উঠে আসবে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাছ! ৪০ বছর বাঁচে সাগরের এই রানী
এদিনের এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা ডিএসপি ক্রাইম বিক্রম জিৎ লামা, ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস, ময়নাগুড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক কৃষ্ণা রায়, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসনিয়া, ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী সহ এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরাও। আলু কৃষকদের দাবি, যেহেতু দুর্ঘটনা হয়ে গেছে সে অনুযায়ী আমাদের অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাই আমরা ক্ষতি হওয়া আলু গুলি আমরা পুনরায় ফিরিয়ে নেবনা।
আরও পড়ুনঃ Weather Big Update: অবশেষে সবুজ সংকেত! বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গের এই ৫ জেলায়
হিমঘর কর্তৃপক্ষ সেই আলুগুলির সঠিক মূল্য যাতে আমাদের ফিরিয়ে দেয় সেটার দাবি আমরা করছি মূলত আজকের এই আলোচনায় সেই হিমঘরে রাখা কৃষকদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন না তাই আমরা তাদের উপস্থিতিতে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক এটা আমরা দাবি করছি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে জানা যায়, কৃষকদের যাতে কোন সমস্যা যাতে না হয় সেইদিকটা লক্ষ্য করেই আমরা দ্বিতীয় দিনে এই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।