Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 29 July, 2019 3:33 PM IST

বর্তমান সময়ে কৃষক সমস্যা একটি বৃহৎ সমস্যা। কৃষকদের এই সমস্যাগুলি আগামীদিনে সাধারণ নির্বাচনে সুবিশাল ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে অধিকাংশ জনগণই মনে করছেন। প্রত্যেক পার্টি/দল চেষ্টা করছেন দুর্দশাগ্রস্থ কৃষকদের এই সমস্যা নিবারণের জন্য কারণ সাম্প্রতিক কালে রাজ্য নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যদি লক্ষ্য করা হয়, তাহলে দেখা যাবে পূর্বে সরকারের ঘোষিত বাজেটে এন.ডি.এ সরকার কৃষি খাতে প্রায় উদাসীন ছিলেন। ভারতে জি.ডি.পি কৃষিক্ষেত্রে ৪০% জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১৭% -কে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে চাকরি প্রদান করে। দুর্ভাগ্যবশত পরপর দু’বছর আবহাওয়ার কারণে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কৃষকদের এই তীব্র দুর্দশা রাজনীতিবিদরা লক্ষ্য করেন। তৃতীয় বছরে এই অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য সরকার চেষ্টা করেন, সেই বছর আবহাওয়াও কৃষকদের অনুকূলে ছিল, কিন্তু হতাশাজনক যে, কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে তারা ব্যর্থ হন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় যে, গ্রামীন আয় ৪ বছরের মধ্যে খুবই কমে গেছে এবং এই আঘাত কৃষকদের পক্ষে অত্যন্ত সংকটজনক ও কঠোর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

কৃষক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে সরকারের প্রচেষ্টা

 গত বছর মোদী সরকার এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন, ন্যূনতম মূল্যে ফসলের বৃদ্ধির কথা বলে। কিন্তু খুব কম সংখ্যক কৃষকই এম.এস.পি –তে তাদের ফসল বিক্রি করতে পেরেছিলেন ফলত এতে চাষীদের কোন লাভ হয়নি। পরবর্তী পদক্ষেপে কৃষক ঋণ মকুব করা হয়, যা তাদের জন্যে অনেক সুবিধাজনক হয়। দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলি এবং গ্রামীণ কৃষিবাজার, হাসপাতাল এবং বিদ্যালয়ের উন্নতি সাধনের দিকে মোদী সরকার নজর দিয়েছেন। যাতে গ্রামীণ বাজারে ব্যবসা বাড়ে এবং গ্রামীণ অর্থ-ব্যবস্থার উন্নতি হয়। দেশের প্রতিটি গ্রামের চিত্র কে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যেই সরকারের এই পরিকল্পনা। বর্তমানে কৃষকদের জন্য সরাসরি আয়ের কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু এতেও কিছু সমস্যা আছে।

এই সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব?

  • এই সমস্যার একমাত্র সমাধান কৃষিতে অনুদান বা অধিক লাভ হলে। কৃষকরা তাদের লাভের জন্য রকমারি ফলের চাষ করতে পারেন। যেমন – গম, আপেল, আঙুর এবং নারকেল প্রভৃতি শস্যের চাষ করলে তা বর্তমানে লাভজনক হবে।
  • এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি দ্বারা উন্নত জমিতে চাষ করে ফসলের অধিক ফলন করে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
  • চাষী কারোর মাধ্যমে নিজের ফসল বিক্রি না করে সরাসরি নিজে এই ফসল বিক্রি করলে তার লাভের পরিমাণ বাড়বে।

বড় বড় সংস্থাগুলি কৃষকদের একটি অংশকে পরিচালিত করে। সম্প্রতিকালে অশোক ডালওয়াই নামক কমিটি-টি কৃষক আয় ৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কয়েকটি বিশেষ সুপারিশ করেছেন যার মধ্যে কৃষক চুক্তি এবং জমি লিজিং আইনও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু ভারতের পূর্ব আইন ব্যবস্থা এবং বিধান তাদেরকে এক্ষেত্রে কোন বড় ভূমিকা নিতে বাঁধা দেয়।

পরিশেষে বলা যায়, ভারতীয় কৃষকরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তবে আশা করা যায়, এ বিষয়ে রাজনীতিবিদরা বিশেষ নজর দেবেন। তৎসত্তেও দুঃখজনক এই যে, এই বিষয়ে তারা কোন স্থায়ী সমাধানের দিকে দৃষ্টিপাত করছেন না। সেই কারণে বলা যেতে পারে, কৃষকদের এই সমস্যার সমাধান হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহের অবকাশ আছে।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

English Summary: The-impact-of-peasant-problems-on-the-social-economy
Published on: 29 July 2019, 03:33 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)