বাঁশ চাষে কৃষকদের ৫০ শতাংশ সহায়তা দেবে রাজ্য় সরকার

মধ্যপ্রদেশ সরকার বাঁশ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে কৃষকদের জন্য 'সবুজ সোনা ' বলছেন। বন বিভাগের প্রধান সচিব অশোক বর্ণওয়াল বলেছেন যে বাঁশ চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় নিরাপদ এবং বেশি লাভজনক।

Saikat Majumder
Saikat Majumder
বাঁশ চাষ

মধ্যপ্রদেশ সরকার বাঁশ চাষে কৃষকদের  উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে কৃষকদের জন্য 'সবুজ সোনা ' বলছেন। বন বিভাগের প্রধান সচিব অশোক বর্ণওয়াল বলেছেন যে বাঁশ চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় নিরাপদ এবং বেশি লাভজনক। বাঁশ ফসলের বিশেষত্ব হলো এটি কোনো মৌসুমেই নষ্ট হয় না। হরদায় বাঁশ লাগানোর জন্য কৃষকদের একদিনের কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। বর্ণওয়াল বলেন, বাঁশের ফসল এই অর্থেও ভালো যে একবার লাগানোর পর বহু বছর ধরে এর উৎপাদন পাওয়া যায়। বাঁশ চাষে কম খরচের পাশাপাশি মানুষের শ্রমও অনেক কম। এর চাষে, কৃষকরা প্রতি গাছে 120 টাকা সাহায্য পাবেন। তিন বছরে গাছ প্রতি গড় খরচ 240 টাকা। অর্থাৎ অর্ধেক টাকা দেবে সরকার।

বর্ণওয়াল জানান, এক হেক্টরে ৬২৫টি বাঁশের চারা রোপণ করা যায়। কৃষকরা সরকারি নার্সারি থেকে বাঁশের চারা কিনতে পারেন। তিনি বলেন, বাঁশের ফসল পরিবেশের জন্য উপকারী, সবুজ বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষায়ও সহায়ক।সিএম শিবরাজ সিং চৌহান ইতিমধ্যেই বলেছেন যে কৃষিক্ষেত্রে বাঁশ মিশন বাস্তবায়ন করে কৃষিকে লাভজনক করা হবে।এর চাষাবাদও ফসল বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি কর্মকর্তাদের বাঁশ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বলেছেন।

আরও পড়ুনঃ বাঁশ চাষে লাভ হবে কৃষকদের, আর্থিকভাবে সাহায্য করবে সরকার

কী বললেন বাঁশ মিশনের সিইও?

মধ্যপ্রদেশ বাঁশ মিশনের সিইও ডক্টর ইউকে সুবুদ্ধি জানান যে রাজ্য বাঁশ মিশন প্রকল্পে কৃষকরা ব্যক্তিগত জমিতে বাঁশ রোপণ করেন। রোপিত বাঁশ গাছের জন্য, কৃষকদের 3 বছরে প্রতি গাছে 120 টাকা হারে অনুদান দেওয়া হয়। প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট এবং ফরেস্ট ফোর্স চিফ আর কে গুপ্ত এবং কালেক্টর সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কৃষকরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাঁশ চাষ ঝুঁকির কারণ কমায়

কৃষি বিশেষজ্ঞ বিনোদ আনন্দ বলেন, বাঁশ চাষে কৃষকদের ঝুঁকি কম থাকে । কারণ কৃষকরা বাঁশ গাছের মধ্যে অন্যান্য ফসল ফলাতে পারে। ১৩৬ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে, তবে ১০-১২টি প্রজাতির বাঁশ বেশ প্রচলিত। কৃষক ভাইরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী প্রজাতি নির্বাচন করতে পারেন।  আগে বাঁশ কাটার জন্য কৃষকদের  উপর বন আইন মামলা জারি করা হত । তাতে  কৃষকদের সমস্য়ায় পরতে হত। তাই  গাছের তালিকা থেকে বাঁশকে  বাদ দিয়ে ঘাসের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে ।  তাই এখন ব্যক্তিগত জমিতে লাগানো বাঁশ কাটতে কৃষকদের  কোনো সমস্য়া হবে না।

আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশে আধিকারিকদের গাফিলতিতে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি উড়াড় ডাল, ছোলা ও মসুর ডাল

 

Published On: 14 January 2022, 04:44 PM English Summary: The state government will provide 50 percent assistance to farmers in bamboo cultivation

Like this article?

Hey! I am Saikat Majumder. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters