উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: মূলধনের অভাব ও প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছে না ঐতিহ্যবাহী হস্তচালিত তাঁত শিল্প। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে তাঁত এবং এই শিল্পে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের রথেরহাট ও লোহাজাঙ্গেরবাড়ি এলাকার ২০০টি পরিবার তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত।
কিন্তু প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অব্যাহত লোকসানে দুর্দিন নেমে এসেছে। এই শিল্পের সাথে ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবার তাঁত শিল্পের কাজ করছেন। অনেকেই তাঁত শিল্প ছেড়ে অন্য কাজে যোগ দিয়েছে। রথেরহাটের তাঁত শিল্পী সামান্ত মন্ডল বলেন, "মূলধন যোগান ও পণ্য বিপনণের ব্যবস্থা করা গেলে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে এই শিল্প। এতে ঐহিত্য ধরে রাখার পাশাপাশি বাড়তি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। খুড়িয়ে খুড়িয়ে কিছু চরকা চললেও বেশির ভাগই বন্ধ। বাজারে সুতা-রংসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।" আরেক তাঁত শিল্পী সন্তোষ মন্ডল বলেন, "দীর্ঘ দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ ছিল। তখন অন্য কাজের সাথে যুক্ত হয়েছি।
আরও পড়ুনঃ দু দিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন করলেন উপাচার্য প্রভাত কুমার রাউল
এখন পুনরায় চালু হয়েছে কয়েকটি তাঁত শিল্প তাও আবার চাহিদা নেই এদিকে মূলধনের অভাব। এই তাঁত শিল্পে চারটা মেশিন আছে, কিন্তু কর্মী আর টাকার অভাবে চালু করাই মুস্কিল। তাও আবার মালিকের কাছে সুতা নিয়ে কোনো রকমে চালু করা হয়েছে।"
আরও পড়ুনঃ ইলিশের সংরক্ষণ এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা গঙ্গা নদীতে: একটি মিশন মোড