ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (ICAR)-এর জাতীয় সমন্বিত কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা গবেষণা কেন্দ্র, নয়াদিল্লির নবনির্মিত গবেষণা ও প্রশাসনিক ভবনটি আজ কেন্দ্রীয় কৃষি, কৃষক কল্যাণ ও আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা উদ্বোধন করেন। এসময় মুন্ডা বলেন, ফসলের পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) ক্ষেত্রে এই কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজ এই ভবনটি জনসাধারণের জন্য উৎসর্গ করে দেশ এর সুফল পাবে বলে আশা করছি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সমন্বিত কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এমন একটি ফসল হবে যেখানে রোগের সম্ভাবনা থাকবে না এবং রাসায়নিক ও কীটনাশকের প্রয়োজনও ন্যূনতম হবে, কারণ মাটির গুণাগুণ বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনের ভিত্তি।
আরও পড়ুনঃ মুরগির এই লক্ষণগুলি থাকলে আজ থেকেই খামারে বাছাই প্রক্রিয়া চালু করুন,দেখুন বাছাই পদ্ধতি
প্রধান অতিথি মুন্ডা বলেন, আজ প্রয়োজন খাদ্য সরবরাহকারীদের সাথে কাজ করে একটি নতুন ভারত গড়ার অঙ্গীকার নেওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি উন্নত ভারত গড়ার মাধ্যমে, 2047 সাল নাগাদ, আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি যে আমরা খাদ্যশস্য উৎপাদনে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর এবং বিদেশ থেকে আমাদের দেশে ডাল ও তৈলবীজ আসে না। আমরা প্রাকৃতিক কৃষিকে এগিয়ে নিয়েছি এবং জৈব চাষেও সাফল্য অর্জন করেছি।
আরও পড়ুনঃ হাঁস পালনের আগে জেনে নিন এই দুটি লাভজনক পদ্ধতি
মাতৃভূমির সেবা করতে হবে এই অনুভূতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কাজকে এগিয়ে নিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকেই আমরা ভৌগলিক আয়তনের নিরিখে জমির দিকে তাকাইনি, বরং এটাকে মায়ের কোল বলে মনে করেছি। এটা দেখাশোনা করাও আমাদের দায়িত্ব। আজ অনেক রাজ্যে জলস্তর নেমে গেছে, যার কারণে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের সামনে বিকল্পগুলো কী এবং এর সমাধান কী হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি হলো কৃষকরা যেন সুখে থাকে, মা-বোনেরা এগিয়ে যায়, তরুণরা সুযোগ পায় এবং দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীরা স্বাধীনতার ৭৫ বছরে নিরাপত্তা পায়। এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মুন্ডা বলেন, নারী শক্তি বন্দন আইন পাস করে মাতৃশক্তিকে সমান অধিকার দেওয়ার কাজ করা হয়েছে। কৃষি: স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এফপিও, সহকারে সমধি অভিযানের মাধ্যমে কৃষিতে সমান সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই, মাটি রক্ষা, কৃষকের মর্যাদা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে পৌঁছানো এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধির আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি সুখী পরিবারের সংকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।