কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ একদিকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা অন্যদিকে পর্যাপ্ত হিমঘরের অভাব।এই দুইয়ের সংমিশ্রনে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে আলু চাষীদের ।অভিযোগ আলুর বন্ড পাচ্ছেন না কৃষকরা।অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাসের জেরে দুই দিনাজপুর ও মালদহ এই তিন জেলার কৃষকদের মধ্য জমি থেকে আলু তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কিন্তু বাড়তি আলু তারা কোথায় রাখবেন এ নিয়েই কৃষকদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা সহ কয়েকটি জেলায় ঝড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা।তবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে আলুর তেমন কোনও সমস্যা হবে না।তবে ভারী বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে গেলে সমস্যা হবে।
আরও পড়ুনঃ আলুর বন্ড না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ কৃষকদের
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে আলু চাষীদের। আলুর ফলন বেশি অন্যদিকে আলুর সঠিক দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। পাশাপাশি হিমঘরগুলোতে আলুর বন্ডের কালোবাজারির অভিযোগ। এর উপরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বৃষ্টিপাতের জেরে জেলার আলু চাষীদের মাথায় হাত।
উত্তর দিনাজপুরে অনেক এলাকায় এখনও আলু তোলা হয়নি।কিন্তু বৃষ্টির পূর্বভাস পেতেই আলু তোলার হিড়িক পরে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই উৎপাদিত আলু রাখার জন্য পর্যাপ্ত হিমঘর পাচ্ছেন না কৃষকরা।যদিও এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আলু চাষী আলু তুলতে পারেননি জমি থেকে।দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে আলু চাষীদের। বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন তাঁরা এমনটাই আশঙ্কা করছেন আলু চাষীরা।
আরও পড়ুনঃ জমি রক্ষা করতে রক্ত ঝরেছিল নন্দীগ্রামে, কালো দিবস বলে শহিদ স্মরণ মমতার
প্রশঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও পর্যন্ত জমি থেকে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টন আলু তোলা হয়েছে। এখনও জমিতেই পড়ে রয়েছে লক্ষাধিক টন আলু। ওই জেলাতেও মোট চারটি হিমঘর মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করা যাবে।