কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যে তুমুল হইচই পরে গিয়েছে রাজ্য রাজনিতিতে। তবে কি জেলে বসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন করার কথা ভাবছেন বিরভুমের বেতাজ বাদসা অনুব্রত মণ্ডল ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনিতিতে। আসানসোল জেল থেকে বেরোনোর সময় বীরভূমের জেলা সভাপতির মন্তব্যে এমনই সুর শোনা গেল। এদিন পঞ্চায়েত ভোটের কথা জিজ্ঞেস করতেই অনুব্রত বলেন, ‘ব্যাপক হবে পঞ্চায়েত ভোট’।
বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এমপি-এলএ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসার সময়ই, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, 'ব্যাপক'! আর এই জবাব ঘিরেই রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল।
এদিন জেল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'সামনেই তো পঞ্চায়েত ভোট। কেমন হবে সেই পঞ্চায়েত ভোট? দিদিকে কিছু বলবেন?' সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অনুব্রত মণ্ডলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, ' ব্যাপক হবে পঞ্চায়েত ভোট '। যা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। কীসের ইঙ্গিত দিলেন অনুব্রত মণ্ডল? তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে কী বোঝাতে চাইলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুনঃ পূজোর বোনাসে কোপ, কমিয়ে দেওয়া হবে চা শ্রমিকদের বোনাস?
অনুব্রতকে আক্রমণ করে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ অনুব্রত মন্ডলরা তো মমতার কথা মতই চলেন। তারা এখন বিব্রত.. লুঠ জারি রাখতে পঞ্চায়েত তো চাই তাই ভোকাল টনিক দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে’’।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বীরভুমের মানুষ কার্যত ভয়মুক্ত হয়ে উঠছে, ‘ ব্যাপক ’টা ওর বিরুদ্ধেই হবে।ওর কথার কোনও প্রাসঙ্গিকতা এই মূহুর্তে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার তৃণমুল জিততে পারবেনা। “
২০১০ সালে মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। সেই মামলাতেই হাজিরা দেওয়ার জন্য আসানসোল থেকে এদিন কলকাতায় নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে।
আরও পড়ুনঃ মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে, আদালতে সওয়াল পার্থের আইনজীবীর
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গত ১১ আগস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কলকাতার নিজাম প্যালেসে ছিলেন তিনি। সেখানেই চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি।