রসুন চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়লেও বাঙ্গিতে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা । স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গুরুদাসপুরের বাঙ্গি যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা সহ সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। চলতি বছর উপজেলায় ৩৫ মেট্রিক টন বাঙ্গি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশের উপজেলা কৃষি দপ্তর ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রসুনের সাথি ফসল হলেও চলতি মৌসুমে কৃষকদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঙ্গি। কারণ এই মৌসুমে রসুনে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের । এবার বাজারে প্রতি মণ রসুন যে দরে বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকদের। তবে সাথি ফসল বাঙ্গির ন্যায্য দাম পেয়ে রসুনের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে লাভবান হওয়ায় খুশি চাষিরা।
বাংলাদেশে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্য়বসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে ৫০-৬০ টাকা পিস হিসেবে বাঙ্গি কিনছেন । ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাবেন এই বাঙ্গী । এক ট্রাকেই প্রায় এক লাখ টাকার বাঙ্গি সরবরাহ করা হচ্ছে । এতে ২০ হাজার টাকার মতো লাভ হবে বলে আসা করছেন ব্য়বসায়ীরা ।
আরও পড়ুনঃ চন্দন গাছ চাষ করে আপনি সহজেই ১ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন
বাঙ্গি ক্রেতা রব্বেল হোসেন বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্য়মকে জানান, গুরুদাসপুর থেকে প্রতি বছর বাঙ্গি কিনে সিলেটে নিয়ে যান তিনি। প্রতিদিন দুই গাড়ি বাঙ্গি কেনেন। গাড়ি প্রতি খরচ বাদ দিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয় রব্বেল হোসেনের ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছরের মতো এবারও রসুনের সঙ্গে বাঙ্গির চাষ করেছেন বেশির ভাগ কৃষক। রসুন ঘরে তোলার পর এখন কৃষকেরা বাঙ্গি তোলা ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ এই গরমে শসা চাষ করুন, লাখ লাখ টাকা লাভ হবে
এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় ও পোকামাকড়ের আক্রমণে বাঙ্গির ফলন কম হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হয়নি। তবে স্থানীয় বাজারে এবং পাইকারদের কাছে ভালো দাম পেয়ে বাঙ্গি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।