সাড়ে ৯ ঘণ্টা সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে বেরিয়ে বিস্ফোরক মন্ত্যব্য করলেন তিনি। একের পর এক নাম এনে তীব্র নিশানা করলেন বিজেপিকে। বললেন শুভেন্দু অধিকারির টাকা নেওয়ার ফুটেজ সিবিয়াই দেখেনি? তাকে কেন ডাকা হচ্ছে না। আমি তৃনমূল বলে আমার জন্য আইন আলাদা।
গতকাল সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে এসে উপস্থিত হন অভিষেক। রাত ৮.৪৫ মিনিটে বেরিয়ে আসেন অভিষেক। বেরিয়ে এসেই বলেন এইভাবে ডেকে তাঁর সময় নষ্ট হচ্ছে এবং ইডি এবং সিবিআই দুই সংস্থার সময়ও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও তিনি প্রসঙ্গ তুলে আনেন দুই জেলার পূর্ব মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদ। অভিষেক দাবি করেন দুর্নীতি কাণ্ডে যে এজেন্টদের নাম উঠে এসেছে তাঁর বেশিরভাগ নাম এই দুই জেলার। আর সেই সময় এই দুই জেলার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করেই নিশানা অভিষেকের।
আরও পড়ুনঃ ইন্টারনেট ডিজঅর্ডার কি? এর প্রতিরোধ ও নিরাময়
প্রসঙ্গ তুলে আনেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির দলিল পেয়ে তল্লাশি করা হয়েছিল। তাহলে যখন প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল পেলে দিলীপ ঘোষকে কেন ডাকা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল করে বলে কি তাঁর জন্য আইন আলাদা। পাশাপাশি গোটা বিজেপি দলকে চোর এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের দল বলেও কটাক্ষ করেন। প্রসঙ্গ তুলে আনেন প্রধানমন্ত্রীর “না খায়ুঙ্গা না খানে দুঙ্গা” উক্তির। হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, শুভেন্দু অধিকারি, নারায়ণ রানে, এদের মত দুর্নীতিগ্রস্ত লোক কিভাবে আপনার দলের মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
আরও পড়ুনঃ জরিমানা ২৫ লক্ষ, টুইটারে অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর
অভিষেক বলেন “দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকতে পারবনা, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে মরা ভালো”। পাশাপাশি বলেন নবজোয়ার প্রকৃতিও আটকাতে পারেনি সেখানে বাকিরা তুচ্ছ। এছাড়াও প্রসঙ্গ তোলেন ২০০০ টাকার নোটের বাতিল নিয়ে। বলেন এবার ২০২৪ এ ভোটবন্দি হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখেনা। ১০০ দিনের কাজের টাকা মানুষ পাচ্ছে না। ফল দেখা গেছে কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলে। আবারও দেখা যাবে ২০২৪ এ। জনগণ সব কিছু দেখছে তারাই উত্তর দেবে।