উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: তামাক পাতা কাটা এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তামাক চাষীর পরিবারের সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে অধিকাংশ তামাক চাষীদের তামাক চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি'র রাজারহাট, সাপ্টিবাড়ি, বর্মপুর, হেলাপাকড়ি-র বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েকজন তামাক চাষী মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ করেন। কিন্তু এবছর পাতা তোলার উপযুক্ত সময়ে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বিঘার পর বিঘা জমিতে নষ্ট হয় তামাক।
ময়নাগুড়ির একাধিক তামাক চাষীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান তামাক চাষীর একাংশ। ফাল্গুন এবং চৈত্র মাসের দিকে পাতা তোলার উপযুক্ত সময়। কিন্তু আবহাওয়ার খেয়ালখামির কারণে পাতা তুলতে পারেননি ময়নাগুড়ির একাংশ কৃষক। যদিও আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় পাতা তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তামাক চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির ফলে নিদ্রাহীন আলু চাষিরা! মাথায় হাত বাংলার কৃষকদের
সাপ্টিবাড়ির তামাক চাষী হরেন রায় বলেন, “বৃষ্টি হওয়ার ফলে বেশ কয়েকদিন তামাক পাতা তোলার কাজ বন্ধ ছিল। আবহাওয়ার বেশ কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় তামাক তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আগে যে হারে বৃষ্টি হয়েছে সেই হারে উপযুক্ত পাতাগুলি জমিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সে দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়”। রাজারহাটের আরেক তামাক চাষী নির্মল রায় জানান, “রাজারহাটের অধিকাংশ কৃষকেই তামাক চাষ করেছেন। আবহাওয়ার নিম্নমুখীর কারণে শিলা বৃষ্টি এবং ঝড়ো হওয়ার কারণে অনেক পাতা নষ্ট হয়”।
আরও পড়ুনঃ আলুর বন্ড না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ কৃষকদের
যদিও এ বছর সেরকম বাজার দর নেই আর বৃষ্টির কারণে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তামাক চাষীদের মাথায় হাত। হেলাপাকড়ি গ্রামের চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, “মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ শুরু করেছি। বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট। এবার কিভাবে মহাজনের ঋণ পরিশোধ করব সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কিন্তু উপযুক্ত সময় হলেও বৃষ্টির কারণে পাতা তুলতে এবং শুকানোর কাজ করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।“