কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দেশের কৃষকদের একটি নতুন পরিচয় দিতে এবং তাদের সম্মান জানাতে কৃষি জাগরণ আয়োজিত 'মাহিন্দ্রা মিলিয়নিয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৩'-এর প্রথম দিনটি ছিল উৎসাহে পরিপূর্ণ।মিলিয়নিয়ার ফার্মার অ্যাওয়ার্ড শো নিয়ে কৃষকদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ ছিল। প্রথম দিনের শেষ অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। এ সময় তিনি কৃষি জাগরণ আয়োজিত 'মাহিন্দ্রা মিলিওনিয়ার ফার্মার অব ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড'-এ প্রদর্শিত প্রদর্শনীও পর্যালোচনা করেন। প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যার মধ্যে সরকারও কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বাস করে। কিন্তু জিডিপিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অবদান মাত্র ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। তিনি বলেন, গান্ধীজি বলতেন যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা গ্রামে বাস করে। কিন্তু গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রমাগত অভিবাসন হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা যতটা শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল, ততটা শক্তিশালী হয়নি। যার কারণে গ্রামের যুবক-যুবতীরা কর্মসংস্থানের জন্য বড় পরিসরে পাড়ি জমাচ্ছে শহরে।
'কৃষকরা ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না'
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা তাদের ফসলের সঠিক মূল্য পায় না। গত ১০ বছরে আমাদের দেশে কীটনাশকের দাম অভূতপূর্ব ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গম ও চালের দাম বেড়েছে খুবই কম। তিনি বলেন, দেশের কৃষকদের যদি অগ্রগতি করতে হয়, তাহলে আমাদের উৎপাদন খরচ কমাতে হবে, তবেই কৃষকরা সুফল পাবেন।
আরও পড়ুনঃ প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন গুজরাতের রাজ্যপাল করলেন শ্রী আচার্য দেবব্রত
ড্রোন দিয়ে চাষাবাদের ওপর জোর
এ সময় তিনি ড্রোন দিয়ে চাষাবাদের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, কৃষকরা যদি কৃষিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেন, তাহলে তাদের অনেক সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, দেশের কৃষকরা এখন আধুনিক হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষিকাজেও ড্রোন ব্যবহার করা উচিত। "আজ আমি যে গাড়িটিতে এসেছি তা ফ্লেক্স প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এবং কৃষকদের দ্বারা উত্পাদিত জৈব জ্বালানির উপর ভিত্তি করে চলে। একইভাবে ড্রোনেও ফ্লেক্স প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটি ড্রোনে ব্যবহার করা হলে এর খরচও কমবে এবং কৃষকরাও এটি চাষে ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় কীভাবে কমানো যায় তা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ আমি কৃষকের সন্তান,আমি গর্বিতঃসতীশ তিওয়ারি
আজ কৃষক খাদ্য দাতা এবং আগামীকাল তাকে জ্বালানী দাতা বলা হবে
এ সময় নিতিন গডকড়ি আরও বলেন, আগামী দিনে দেশে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা হবে। তিনি বলেন, "আমাদের সরকারের মানসিকতা হল কৃষকদের শুধু 'অন্নদাতা' হওয়া উচিত নয়, 'উর্জা দাতা' ও হওয়া উচিত। সমস্ত যানবাহন এখন কৃষকদের উত্পাদিত ইথানলে চলবে। আপনি যদি গড়ে ৬০% ইথানল এবং ৪০% বিদ্যুৎ গ্রহণ করেন, তাহলে পেট্রোল প্রতি লিটারে ১৫ টাকা হারে পাওয়া যাবে এবং মানুষ এর থেকে উপকৃত হবে। দূষণ ও তেল আমদানিও কমে যাবে। তবে শীঘ্রই তিনি জ্বালানি দাতাও হবেন। তিনি বলেন, শীঘ্রই কৃষকদের তৈরি জ্বালানি দিয়ে বিমান চালানো হবে।