Covid 19 পরিস্তিতিতে আমরা সকলেই প্রায় মাস্ক, স্যানিটাইজার, লক ডাউন, সামাজিক দূরত্ব এই সবের সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছি। কিন্তু আমাদের অর্থনীতির ভিত অর্থাৎ কৃষি কে বন্ধ রাখলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এই প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই ৪০ জন চাষীদের নিয়ে এই প্রথম একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো, কৃষি দপ্তর মাটিয়ালী ব্লক ও কৃষি উপদেষ্টা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায়। উপস্থিত ছিলেন উপ কৃষি অধিকর্তা প্রশাসক জলপাইগুড়ি মাননীয় শ্রী প্রবীর হাজরা মহাশয়, সহ কৃষি অধিকর্তা প্রশাসক জলপাইগুড়ি মাননীয়া ড: পাপিয়া ভট্টাচার্য মহাশয়া, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র জলপাইগুড়ি ড: বিপ্লব দাস, মৎস্য বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল ঘোষ, কৌশিক পাল, সহ কৃষি অধিকর্তা মাটিয়ালী ব্লক সৌম্যজিৎ মজুমদার এবং সৌম্যজিৎ রায় ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার সঙ্গে মাটিয়ালী ব্লক ও অনান্য ব্লকের কৃষক বন্ধুরা।
এই কনফারেন্সে প্রসারি এন.জি.ও-র সহযোগিতায় কৃষকরা মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব রেখে প্রজেক্টারে প্রশিক্ষণ নেয়। বিষয় ছিলো "আধুনিক কৃষি ও বিজ্ঞান ভিত্তিক মৎস্য চাষ"। এই প্রশিক্ষণে, জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পোগ্রাম কো অর্ডিনেটর ডক্টর বিপ্লব দাস কৃষকদের "ইন্টার ক্রপিং" এর উপর জোড় দিতে হবে, চাষীদের মধ্যে সেকথা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন। ওই বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ শ্রী ইন্দ্রনীল ঘোষ মহাশয় "তারপোলিন এ মৎস্য চাষ" করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। জলপাইগুড়ি জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শ্রীমতী পাপিয়া ভট্টাচার্য চলতি মরসুমে ধান চাষের পরিচর্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে চাষীদের নিয়ে একটি প্রশ্ন উত্তর পর্ব রাখা হয়। ‘জেলায় এই প্রথম ভিডিও কনফারেন্সে এর মাধ্যমে চাষীদের কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল’, জেলার উপ অধিকর্তা শ্রী প্রবীর হাজরা মহাশয় বলেন। সর্বোপরি, এই ভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি হয়েছেন বলে জানান।।
তথ্যসূত্র – অমরজ্যোতি রায়
Related Link - রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন (Reliance Foundation) এবং রতুয়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে মালদা জেলার আম চাষীদের নিয়ে সংঘটিত অডিও কনফারেন্স
বর্তমান সময়ে জল সংরক্ষণ (Importance of water conservation)-এর গুরুত্ব