কৃষিজাগরন ডেস্কঃ তৃণমুল সহ জাতীয় দলের তকমা হারাল এনসিপি এবং সিপিআই। সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।২০১৬ সালের ২রা সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে জোড়াফুলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশে রাজ্য পর্যায়ের দল হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ‘সর্বভারতীয় দল’-এর মর্যাদা পেয়েছিল তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ “আলু বিক্রির কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার” শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
বর্তমানে ভারতের জাতীয় দলের সংখ্যা ছয় – কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম, বহুজন সমাজ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এবং আম আদমি পার্টি।নতুন করে আম আদমি পার্টি এদিনই সর্বভারতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে।
এদিন টুইট করে অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “এত অল্প সময়ে জাতীয় দল? এটা অলৌকিকতার থেকে কম কিছু নয়। সবাইকে অনেক অভিনন্দন...”
আরও পড়ুনঃ এক সপ্তাহের মধ্যে চা শ্রমিকরা সুখবর পাবেনঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে, জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তৃণমুলকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দুর্নীতির জন্য কেউ আর তৃণমূলকে ভোট দেয় না। সারা দেশে এদের কোনও প্রভাব নেই। এখন জাতীয় দলের তকমা হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গেই অস্তিত্বের লড়াই..”
কিন্তু কেন জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমুল? নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়।কিন্তু তিনটি শর্তের একটিও পূরন করতে পারেনি তৃণমুল। কি সেই তিনটি শর্ত? এক, লোকসভায় অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দুই, লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত মোট আসনের ২ শতাংশ আসনে জিততে হবে । তিন, অন্তত ৪টি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে।
ত্রিপুরার ভোটের পরেই নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি বাতিলের দাবি করেছিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।এদিন তিনি টুইট করে বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে ভারতের মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানাই জাতীয় দল হিসেবে টিএমসির স্বীকৃতি বাতিল করার জন্য"।