লকডাউনের ফলে বন্ধ সড়কপথ, বন্ধ রয়েছে অনেক জায়গায় বাজারও। সরকার কৃষকদের সুবিধার্থে ই-এনএএম, কৃষক পরিবহন কল সেন্টার, পরিবহনের সুবিধার্থে কিষাণ রথ অ্যাপ- ইত্যাদি পরিষেবা প্রচলন করলেও বাজারে সবজির সরবরাহের অভাব দেখা দিচ্ছে। দামও আকাশ ছোঁয়া, কয়েকদিনের মধ্যেই দাম আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলেই অনুমান করা হয়েছে । তবে পাইকারি বাজারের দামের মধ্যে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি।
মূল্য বৃদ্ধির কারণ –
১) হোর্ডিং - সরকার বারংবার ঘোষণা করেছে যে, ফলমূল ও শাকসবজি প্রয়োজনীয় পণ্যাদির বিভাগে রাখা হয়েছে, তা সত্ত্বেও অনেকেই তা বুঝতে চাইছেন না। বাজারে যেন একযোগে আরও বেশি করে শাকসবজি কেনার প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে। অনেক মানুষ প্রচুর পরিমাণে সবজি ক্রয় করে তা বাড়িতে সঞ্চয় করে রাখছেন।
২) সরবরাহের ঘাটতি -
বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে একটি ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে সবজির মূল্য এভাবে হঠাৎই বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসাদার পণ্য মজুতকরণ শুরু করেছে।
বর্তমানে সবজির মূল্য -
লকডাউন থেকে এখনও পর্যন্ত আলুর দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ২০- এর পরিবর্তে কোথাও কোথাও ৪০ টাকা এবং আপেল ১২০ এর পরিবর্তে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ ট্রাক মালিকের কাছে গাড়ির সঠিক কাগজ পত্র না থাকায়, তারা পুলিশি পদক্ষেপের সম্মুখীন হচ্ছেন। লকডাউনের সময় পুলিশের প্রবল নজরদারিতে ট্রাকের চলাচল কমেছে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)