১ জুন থেকে স্বাভাবিক ছন্দে পশ্চিমবঙ্গের চা বাগান (West Bengal Tea Garden). ১০০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরুতে হাসি ফুটেছে সকলের মুখে৷ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চা শ্রমিক এবং চা বাগানের মালিকেরা৷ তবে সোমবার থেকে রাজ্যে চা বাগানের কাজের অনুমতি দেওয়া হলেও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম৷ যার মধ্যে অন্যতম হল সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং (Social Distancing). মাস্ক পরা থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজে ফিরছেন সকলে৷
চা-বাগানে চা-পাতা সংগ্রহের কাজে বেশিরভাগ মহিলারা যুক্ত থাকায় তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর বেশিমাত্রায় জোর দেওয়া হচ্ছে৷ ৩১ মে চতুর্থ দফার লকডাউন শেষে ১জুন থেকে ব্যবসায়িক কাজকর্ম থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা কাজে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তবে সবক্ষেত্রেই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে৷
চা-বাগানে বর্তমানে চা-পাতা সংগ্রহের সময়৷ তাই ১০০ শতাংশ চা-শ্রমিকও প্রয়োজন৷ রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে স্বভাবতই খুশির হাওয়া চা-বাগানে৷ তবে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন-এর (ITA) মতে লকডাউনের কারণে পশ্চিমবঙ্গ, অসমে চা-শিল্প কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে৷ চাহিদার থেকে অনেক কম চা সরবরাহ হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, চা-এর জন্য যে উন্নত-প্রয়োজনীয় পরিবেশের প্রয়োজন হয় পশ্চিমবঙ্গে থাকায় এখানে চা-এর উৎপাদন যেমন ভালো, তেমনই তার চাহিদা রয়েছে দেশে-বিদেশে৷ কিন্তু মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই চা-উৎপাদন এবং সরবরাহ ধাক্কা খেয়েছে৷ অসমেও এই লকডাউনের প্রভাব পড়েছে৷
লকডাউনের এই সময়কে চা-পাতা সংগ্রহের সবথেকে উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হয়৷ কিন্তু লকডাউনের কারণে প্রায় দু মাস চা-বাগানে (Tea Garden) কাজ বন্ধ৷ সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে এই ঘাটতি পূরণ আদৌ কতটা সম্ভবপর হবে সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই৷ তবে ১০০ শতাংশ চা-শ্রমিকের কাজে ফের যোগদান আশা জাগাচ্ছে চা-বাগানের মালিকদের মনে৷
বর্ষা চ্যাটার্জি