Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 9 April, 2020 4:38 PM IST

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম শ্রমনির্ভর শিল্প হল চা ও পাট, দক্ষিণবঙ্গে ৬০ টি পাটকলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২,০০,০০০ জন এবং উত্তরবঙ্গে ২৮৩ টি চা বাগানের প্রায় ৩,৫০,০০০ স্থায়ী ও নৈমিত্তিক শ্রমিক নিযুক্ত রয়েছেন।

এই সময় পাট সংগ্রহের মরসুম। অন্যান্য রাজ্যে যাতে পাটের সংকট না দেখা যায়, সেজন্য পাটকলগুলিকে তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য ৩ রা এপ্রিল মিনিস্ট্রি অফ ফুড অ্যাণ্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার দেশব্যাপী লকডাউন শেষ হওয়ার আগে পাটকলগুলিকে কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি প্রদান করতে নারাজ।

পাঞ্জাব ও তেলেঙ্গানা সরকার এবং ভারতের খাদ্য দফতর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় যে, পাটের বস্তার ঘাটতি কৃষকদের পণ্য ক্রয়ের ক্ষতি করতে পারে এবং কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করা হয়, পাটকলগুলিতে কাজ শুরু করার জন্য রাজ্য সরকার যাতে অনুমতি প্রদান করে তার অনুরোধ জানাতে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৪ ই এপ্রিল কেন্দ্রের ঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার আগে চা বাগানগুলিতেও পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার জন্য অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, “আমরা খাদ্য মন্ত্রকের চিঠির ভিত্তিতে মিলগুলিকে কাজ শুরু করতে দিতে পারি না। ১৪ ই এপ্রিল অবধি লকডাউনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা ঘোষিত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আমাদের যদি জানান যে, পাটকল এই লকডাউনের আওতার বাইরে, তবেই আমরা অনুমতি দিতে পারি”।

শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, সরকারের সিদ্ধান্তের কথা শিল্প মন্ত্রকের সাথে পর্যালোচনা করেন এবং এই পর্যালোচনার ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক দেবাশীষ রায় সমস্ত পাটকলগুলি পরিচালনার উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ  সরকারের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সমস্ত মিলকে বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ”

৩ রা এপ্রিল, ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ই.কে.মাঝি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবকে জানান যে, পাঞ্জাব সরকার এবং এফসিআই পাটের বস্তার অভাবজনিত কারণ হিসাবে পাটকলগুলির অকার্যকরতাকে দায়ী করেছে। মার্চ মাসে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহের লকডাউনের জেরে মিলগুলি বন্ধ হওয়ায় পাট উৎপাদনও বন্ধ এবং চলতি বছরে দেশে আরও পাটের ব্যাগের প্রয়োজন হতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

ই.কে.মাঝি একটি চিঠিতে লিখেছেন, এটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয় যে, “রাষ্ট্রীয় সংগ্রহ সংস্থা / এফসিআইয়ের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পাট উত্পাদন / প্রেরণের জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে পাট কলগুলির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা। অতএব, পাট কলগুলিকে অবিলম্বে পাটের বস্তা উত্পাদন / সরবরাহ শুরু করার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করব যাতে পাট ক্রয়ের শীর্ষ সময়কালে পাটের ব্যাগের সংকটের কারণে সরকারের ক্রয় কার্যক্রম ব্যাহত না হয়”।

৩ রা এপ্রিল, কেন্দ্র চা বাগানগুলিকে লকডাউনের আওতা থেকে অব্যাহতি দেয় এবং ৫০ শতাংশ শ্রমশক্তি সহ পুনরায় কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কেন্দ্র আমাদের চা বাগানের কার্য সক্রিয় রাখার জন্য বলে, কিন্তু আমি এই শিল্পের সাথে জড়িত লোকদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের সকলের মতামত অনুযায়ী, এই লকডাউন অব্যাহত রাখা উচিত। এছাড়াও, শ্রমিকরা ভীত হয়ে আছেন এবং সংক্রমণের ভয়ে তারা যোগদান করতে রাজি নন। সর্বোপরি, আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার কারণ, যে অঞ্চলে চা-বাগানগুলি রয়েছে, সেই অঞ্চল নেপাল এবং ভুটানের আন্তর্জাতিক সীমানা এবং আসাম ও সিকিমের সাথে রাষ্ট্রীয় সীমানা। সুতরাং, চা-বাগানগুলিকে পরিচালনা করার ঝুঁকি আমি নিতে পারি না”।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

English Summary: West Bengal Jute Mill and Tea Gardens are closed due to Lockdown
Published on: 08 April 2020, 10:28 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)