দেশজুড়ে লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শে রাজ্য সরকারগুলি দেশব্যাপী কারফিউয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ‘ই- পাস’ দেওয়ার একটি পদ্ধতি প্রচলন করেছে। এই প্রয়োজনীয় গতিবিধিগুলি ই- পাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে এবং সরকার নিবিড়ভাবে এর তদারকি করবে।
২০২০ সালের ২৪ শে মার্চ, ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯- এর সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে তা ৩ রা মে পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। কিন্তু এই সময়কালে খাদ্যদ্রব্য ও জরুরিভিত্তিক কিছু ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে, অনেক রাজ্য সরকার 'কারফিউ পাস' দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিসগড়, দিল্লী, গোয়া, গুজরাট, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, পুদুচেরী, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পশ্চিমবঙ্গ - এই রাজ্যগুলির জন্য কারফিউ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কারা আবেদন করতে পারবেন –
যারা চিকিৎসা ব্যবস্থা, কৃষি সংক্রান্ত কাজ এবং সরকার নির্ধারিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জরুরিভিত্তিক ক্ষেত্রে কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তারা সকলেই আবেদন করতে পারবেন।
১) 'রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয়' পণ্য হিসাবে ও জরুরি পরিষেবা বিভাগের আওতায় পড়লে, তখনই কোন ব্যক্তি পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২) পাসের জন্য আবেদন করলে, তা অনুমোদনের নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
৩) আবেদনগুলি অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ।
আবেদন পদ্ধতি –
বিভিন্ন রাজ্যে ‘ই-পাস’ আবেদনের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। আবেদনকারীকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘ই-পাস’-এর জন্য নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পূরণ করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে ‘ই-পাস’ -এর আবেদনের জন্য নিম্নে প্রদত্ত লিঙ্ক –এ করুন -
https://coronapass.kolkatapolice.org/ - এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, আবেদনের কারণ ইত্যাদি নথি পূরণ করলেই পেয়ে যাবেন ই-পাস।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)