কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ চাপে পড়ে পিছু হটল কেন্দ্র! ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে গরুকে আলিঙ্গন নয়, এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দিল অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড।শুধু মৌখিকভাবে জানানো নয়, কেন্দ্রের নির্দেশে ভ্যালেন্টাইন ডে-তে গরু আলিঙ্গন দিবস হিসাবে উদযাপন করার বিষয়টি প্রত্যাহার করারও ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে প্রাণী কল্যাণ পর্ষদ।
তবে আমরা যার বাড়িতে গরু পালন করেছি তারা জানেন যে অন্যান্য গৃহপালিত প্রানীর মত গরুও আমাদের পরিবারের একটি সদস্যের মত,অনেকটা কুকুর বা বিড়ালের মতো।গ্রামে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ গরুকে জড়িয়ে ধরে,স্নান করিয়েছে এবং তাদের নিয়ে খেলা করেছে। যারা এই বিষয়টির সাথে অবগত নন তারা তাদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ আপনার পিতামাতা বা দাদা-দাদীকে জিজ্ঞাসা করুন এবং তারা আপনাকে একই কথা বলবে।
প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি সাধারণত ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থাৎ প্রেম দিবস হিসাবে পালিত হয়। গত বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রের প্রাণিসম্পদ মন্ত্র। এর কারণ হিসেবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গরুকে জড়িয়ে ধরলে মানসিক সমৃদ্ধি হবে এবং মন খুশি থাকবে।
গরু এখন রাজনীতিক পশুতে পরিণত হয়েছে; তবে এর স্থল বাস্তবতা অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ পশ্চিমি সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ। তা নিয়ে মাতামাতি ভারতীয়দের মানায় না। এমন কথা হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের মুখে নতুন নয়। বৃহস্পতিবার সেই মন্ত্রকের মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘‘বোর্ডের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ প্রেম দিবসের দিন গরুকে আলিঙ্গন করে ‘গো-আলিঙ্গন দিবস’ পালন করবেন।’’ যা নিয়ে তুমুল হাসিঠাট্টা শুরু হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল পরিষদ।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে ছোট জাতের গরুর নাম ও বিশেষত্ব
এবিষয়ের মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষ ‘কী দুঃখের বিষয়- ভালোবাসা দিবসের জন্য নতুন পরিকল্পনা করতে হচ্ছে,
আরও পড়ুনঃ জনপ্রিয় এই গাছ চাষ করলে লাখ লাখ টাকা আয় হবে, বিশ্বব্যাপী রয়েছে ব্যাপক চাহিদা
প্রসঙ্গত,প্রাণী কল্যাণ বোর্ড 1962 সালে 1960 সালের প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের ধারা 4 অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল, যা প্রাণী কল্যাণ প্রচার করে এমন সংস্থাগুলিকে তহবিল সরবরাহ করে এবং কেন্দ্রকে সম্পর্কিত বিষয়ে পরামর্শ দেয়।