আমাদের দেশের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর প্রত্যেক মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে অতীতের কোনো স্মরণীয় ঘটনা বা বিশেষ কোনো সচেতনতা মূলক বার্তার জন্য কিছু দিবস পালিত হয়। স্মরণীয় বা সচেতনতা মূলক দিবস গুলির মধ্যে একটি দিবস হল জাতীয় শক্তিসংরক্ষন দিবস। প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় শক্তি সংরক্ষন দিবস পালিত হয়।
জাতীয় শক্তি সংরক্ষন দিবস কি?
আমরা প্রতিদিন নানা কাজে শক্তির ব্যবহার করে থাকি। তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মত একাধিক শক্তি দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানান কাজে ব্যবহার করে থাকি। এই সমস্ত শক্তির উৎস নিত্যদিন ব্যবহারের ফলে যে কোনো দিন নিঃশেষ হয়ে যেতেই পারে। আর এই উৎসগুলি খুব সহজে তৈরি হয় না। আমরা সকলেই জানি শক্তির অপচয় পরিবেশের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকর। তাই আমাদের শপথ নিতে হবে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কাজের জন্য যতটুকু শক্তির প্রয়োজন, আমরা ততটাই শক্তি ব্যবহার করবো। এই সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় জাতীয় শক্তি সংরক্ষন দিবস।
আরও পড়ুনঃ চায়ের উৎপাদন কমল ৪ শতাংশেরও বেশী,মুজুরি কমার আশঙ্কা কৃষকদের
আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে চলি তাহলে শক্তি সংরক্ষণ করতে পারিঃ
প্রতিদিন ব্যবহারের পর বৈদ্যুতিক বাতি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বন্ধ করে রাখা।
প্রয়োজন ছাড়া ফ্রিজের দরজা না খোলা।
বৈদ্যুতিক বাতি না জ্বালিয়ে বাড়ির পর্দা সরিয়ে দিনের আলো ব্যবহার করা।
প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি ব্যবহার না করা। স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার জন্য সাইকেল ব্যবহার করুন।
বাড়ির আসপাশ ঠাণ্ডা রাখার জন্য বাড়ির চারিদিকে গাছ লাগান।
১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। দিন দিন জন সংখ্যা বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে দৈনন্দিন কাজে জ্বালানীও ব্যপকহারে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে অনেকটাই কমে আসছে জ্বালানীর পরিমাণ। তাই আমাদের সঠিক ভাবে শক্তির ব্যবহার প্রয়োজন। মূলত এই দিনটিতে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার জন্য ও জনসাধারণের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা করে তোলার জন্য জাতীয় শক্তি সংরক্ষন দিবস পালিত হয়।