কৃষিজাগরন ডেস্কঃ তাঁদের দিনরাতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা ভালো–মন্দ খেতে পারি, আমাদের অন্নের সংস্থান করতে গিয়ে অনেকসময় তাঁদেরই দু’মুঠো ভাত জোটে না। সেই কৃষকদের আজ ধন্যবাদ জানানোর দিন।কিষাণ দিবস বা জাতীয় কৃষক দিবস ২৩ ডিসেম্বর সারা দেশে পালন করা হয় । কৃষকদের কুর্ণিশ জানাতেই ভারতের মেরুদণ্ড কৃষকদের জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়।
জাতীয় কৃষক দিবস ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মবার্ষিকী হিসাবে পালিত হয়। চৌধুরী চরণ সিং উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলার নুরপুর গ্রামে ২৩ ডিসেম্বর, ১৯০২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এই সময়ে তিনি দেশের কৃষকদের স্বার্থে অনেক বড় কাজ করেছিলেন এবং অনেক কল্যাণমূলক প্রকল্প শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ কেন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা থেকে ৬ কোটি কৃষককে বাদ দেওয়া হল?প্রশ্নের মুখে কৈলাশ চৌধুরী
২০০১ সালে কৃষকদের জন্য বানিয়েছিলেন একাধিক প্রকল্প। তার আগে ১৯৫২ সালে কৃষি মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কৃষি ক্ষেত্রে জমিদারি প্রথা বিলোপ করেন। ১৯৫৩ সালে এই সংক্রান্ত একটি আইনও পাশ করান। ফলে তাঁর জন্মদিনটিকে কৃষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
পাশাপাশি এই দিন চৌধুরি চরণ সিং ১৯৭৮ সালে কিষান ট্রাস্টও বানান, ফলে এই দিনের তাৎপর্য কৃষক দিবস হিসেবে আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ধানের ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটল বাংলাদেশের কৃষকদের মুখে
২০০১ সাল থেকে আজকের দিনটিকে অর্থাৎ চৌধুরি চরণ সিংয়ের জন্মদিনটিকে কৃষক দিবস বা কিষান দিবস (National Famers Day) হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে আজকের দিনটিকে কৃষক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দেশ।