কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের অধীনে প্রতি বছর কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০০০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। বছরে তিনবার দুই হাজার টাকার কিস্তিতে এই পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়, যাতে কৃষকরা তাদের ছোটখাটো খরচ মেটাতে পারেন।আসলে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের রুপায়ন করা হয়েছিল, কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে অযোগ্য কৃষকরাও এই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাও নিচ্ছিলেন । এই তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে সরকার ই-কেওয়াইসি এবং জমির রেকর্ড যাচাই বাধ্যতামূলক করেছে। যার ফলে এই প্রকল্প থেকে অনেক অযোগ্য কৃষক বেরিয়ে এসেছে। রাজ্যসভায় এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী।
পিএম কিষানের সম্মান নিধি পাওয়া কৃষকের সংখ্যা কেন ৬ কোটি কমেছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্নের উত্তরে, কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী বলেছিলেন যে কিছু কৃষক আয়করদাতা ছিলেন এবং ভাল পদে নিযুক্ত ছিলেন, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কিষানের অর্থ দুর্বল শ্রেণীর কৃষকদের দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বড় আপডেট, জানুন কবে ঢুকবে প্রকল্পের টাকা
তিনি আরও বলেন,প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির তহবিল ধনী লোকদের জন্য নয়, তাই আমরা তাদের প্রকল্প থেকে সরিয়ে দিয়েছি এবং কৃষকের সংখ্যাও কমেছে। কৃষি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে কিষান সম্মান নিধি হিসাবে ১১.৫ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২.২৪ লক্ষ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার লক্ষ্য হল ক্ষুদ্র ও দুর্বল কৃষকদের অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষমতায়ন করা, যাতে তারা সময়মতো তাদের কৃষি বা ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে পারে। অনেক সময় কৃষি সংক্রান্ত কিছু কৃষি বা ব্যক্তিগত খরচ থাকে, যার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে, তাই সরকার প্রতি ত্রৈমাসিকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা স্থানান্তর করে।
এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র ২ হেক্টর বা তার কম জমির কৃষকদের জন্যই উপলব্ধ। এই বিষয়ে, একটি লিখিত উত্তরে, কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী বলেছেন যে,কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কৃষকদের কল্যাণের জন্য সমস্ত পরিকল্পনা অব্যাহতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আবাস যোজনায় বেনিয়ম রুখতে গঠিত কেন্দ্রীয় নজরদার কমিটি
PM কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার টাকাও সরাসরি DBT-এর মাধ্যমে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল কৃষি জমি আছে এমন কৃষক পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা, যাতে তারা তাদের খরচ এবং প্রয়োজন মেটাতে পারে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী আরও জানান, বর্তমান সরকার এ বছর কৃষি বাজেট বাড়িয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা।
এই বাজেটের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অর্থাত্ ৬৫,০০০ কোটি টাকা সরাসরি ১১.৫ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ডিবিটি-র মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে সরকার দেশে ১০,০০০টি কৃষক উৎপাদনকারী সংস্থা গঠনের পরিকল্পনা করেছে।
এই প্রকল্পে যোগদানকারী কৃষকদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে, যাতে চাষের খরচ কমানোর পাশাপাশি তারা কৃষি ব্যবসার সাথে যুক্ত হতে পারে।