আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি সেই সকল কৃষক ভাইদের জন্য যারা আর্থিকভাবে খুব দুর্বল এবং কৃষিতে আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে, আমরা আপনাকে সরকারের এক প্রকল্প সম্পর্কে বলতে চলেছি, যার সদ্ব্যবহার করে আমাদের কৃষক ভাইরা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প 'কিষাণ সম্মান নিধি' –এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকরা প্রতি বছর ৬০০০ টাকা পান, কিন্তু এখন এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের আরও সমৃদ্ধ করার দিকে কেন্দ্র সরকার আরও দুটি অতিরিক্ত প্রকল্প যুক্ত করেছে। কৃষক ভাইয়েরা এখন এগুলির সুবিধা নিতে পারেন, তবে এই দুটি স্কিম সম্পর্কে বলার আগে, আসুন আমরা আপনাকে বলি কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পটি আমাদের কৃষক ভাইদের পক্ষে কতটা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং তারা এর থেকে কতটা উপকৃত হয়েছে।
কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প থেকে সুবিধাভোগী কৃষক -
তথ্য অনুযায়ী, কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় কৃষকদের ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সরকারের কাছে এখন পর্যন্ত ১.৪৪ কোটি কৃষকের যাচাইকরণ চলছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৪.৫ কোটি কৃষককে সুবিধা প্রদান করা হবে।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যোজনা -
কৃষকদের মহাজনদের থেকে বাঁচাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যোজনা প্রচলন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা ব্যাংক থেকে মাত্র ৭ শতাংশ হারে লোণ গ্রহণের সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে মাত্র এক বছরের মধ্যে লোণ যদি কৃষক পরিশোধ করেন, তাহলে তাদের কেবলমাত্র ৪ শতাংশ হারে লোণ ব্যাংকে পরিশোধ করতে হবে। তবে এখন কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পটি কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় যুক্ত করা হয়েছে। এটি করার পশ্চাতে সরকারের লক্ষ্য হ'ল কৃষক ভাইদের এই প্রকল্পটির সুবিধা পেতে যাতে বিলম্ব না হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে, সরকার কৃষক সম্মান নিধি যোজনার সাথে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পটি যুক্ত করেছে, যাতে কৃষকরা অবিলম্বে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন এবং আমাদের কৃষক ভাইরা আর্থিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হতে পারেন।
কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা কীভাবে পাবেন -
১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে যে কোনও কৃষক এই স্কিমটি পেতে পারেন। এজন্য তাকে তার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে হয়। ৬০ বছর বয়সের পরে তারা পাবেন প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা। সরকার সেই সমস্ত কৃষকের জন্য এই প্রকল্প প্রচলন করেছে, যাদের বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল বৃদ্ধাবস্থায় কৃষকদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যাতে অক্ষুন্ন থাকে।
এই স্কিমটি পেতে আপনাকে নিকটস্থ সিএসসি-তে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে একটি আধার কার্ড, দুটি ফটো, ব্যাংক পাসবুক, ইত্যাদি সকল নথি।
আরও পড়ুন - সরকারের তরফ থেকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পাবেন কৃষকবন্ধুরা, আবেদন করুন এই পদ্ধতিতে
বিশেষ বিষয় –
একটি বিষয় মনে রাখা উচিত যে, যাদের আবাদযোগ্য জমি রয়েছে ২ হেক্টর পর্যন্ত, কেবলমাত্র সেই কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।