পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) নদীয়া জেলার হরিণঘাটা ব্লকের অন্তর্গত হাড়িপুকুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ পূর্ণিমা সাঁতরার খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয় কৃষিজীবী পরিবারে। দারিদ্র্যের কারণে চতুর্থ শ্রেণীর পরে আর পড়া হয় নি, বাবার সাথে পারিবারিক কৃষিকার্যে যুক্ত হয়ে পরে।
কৃষকের জীবনী (Farmer's Story) -
কৃষিকার্যের প্রতি পূর্ব দক্ষতা থাকার দরুন খুব সহজেই স্বামীকে কৃষিকার্যে সাহায্য করতে থাকে, পাশাপাশি বিকল্প রোজগারের উদ্যেশ্যে গরু, ছাগল এবং মুরগি পালনও করতে থাকে। কৃষি ও পশুপালন নিয়ে ভালোই চলছিল পূর্ণিমার সংসার। প্রাণীদের টুকিটাকি অসুখ বিসুখ হলেও স্থানীয় বাজার থেকে অসুধ এনে দিলে মোটামুটি কাজ হতো।
বিগত গ্রীষ্মে হঠাৎই একটি ছাগল ক্রমাগত পাতলা পায়খানা করে অসুস্থ হয়ে পরে। সৌভাগ্যবশতঃ, গ্রামের একজন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দিদির মাধ্যমে পরিচয় ঘটে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর প্রোগ্রাম সাপোর্ট সুজয় ব্যানার্জীর সাথে এবং তাঁরই উদ্যোগে মনিকা পশুপালনের উপর একটি ভার্চুয়াল ট্রেনিং-এ থাকার সুযোগ পায় এবং টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০-র সাথে পরিচয় ঘটে। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর রিসোর্স পার্সন-এর পরামর্শ এবং সুজয় বাবুর হস্তক্ষেপে অবশেষে ছাগলটি সুস্থ হয় যায়।
কৃষকের বক্তব্য -
পূর্ণিমার কথায় " চাষবাস এবং পশুপালন আমাদের মূল জীবিকা। কিন্তু অনেক সময় সঠিক পরামর্শ এবং গ্রামে ডাক্তারের অভাবে আমরা সমস্যায় পড়ি, তখন ব্লকের পশু হাসপাতাল যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর হেল্পলাইন এই অভাব টা আজ পূরণ করে দিয়েছে। ঘরে বসেই আমরা বিনামূল্যে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ পাই। আর তাছাড়া নিয়মিত পশুপালন প্রশিক্ষণ হওয়ার ফলেও আমাদের আত্মবিশ্বাসও আজ অনেক বেড়ে গেছে "।