বিশ্ব মৎস দিবস উদযাপন।
27সে নভেম্বর,2018,রামসাই, জলপাইগুড়ি।
আজ জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে পালিত হয়ে গেল বিশ্ব মৎস দিবস ২০১৮। এই অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্ভাবন ও আজকের "বিষয়" টি "২০২২ কা হো সপনা কিষান কি আয় হ দুগনা সংকল্প সে সিদ্ধি" নিয়ে শুরু করলেন এই বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ শ্রী ইন্দ্রনীল ঘোষ ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ডক্টর বিপ্লব দাস।ইন্দ্রনীল বাবু বলেন যে, পুকুরে বিভিন্ন প্রকার মাছ সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করে কৃষক দের আয় দ্বিগুণ করা সম্ভব। এর পাশাপাশি তিনি রঙ্গিন মাছ চাষের গুরুত্ব ও একোরিয়াম ম্যানেজমেন্ট এর বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এই অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়ি জেলার সহ মৎস আধিকারিক ডক্টর শঙ্খ চক্রবর্তী বলেন, এই জলপাইগুড়ি জেলায় মাছ চাষের খাদ্য গুন,বৈচিত্র্য তার সামাজিক নিরাপত্তা এবং চিরস্থায়ী গ্রহণযোগ্যতা প্রভৃতি বিষয়ে তুলে ধরেন। তিনি মাছ চাষ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন ও উপস্থিত মাছ চাষীদের জল দূষিত না করার বিভিন্ন পরার্মশ দেন। উপস্থিত রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান শ্রী রত্নেশ্বর রায় বলেন যে,এই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদর্থক ভূমিকা রয়েছে বিজ্ঞান ভিত্তিক মৎস চাষে এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার গ্রাম পঞ্চায়েত একদিন মৎস উৎপাদনে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রথম ও প্রধান স্থান দখল করবে। তিনি এ নিয়ে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ যোগদান কে তিনি সাধুবাদ জানান এবং তারা যে মাছ চাষ করে স্বনির্ভর হতে শুরু করেছে সেটা বলেন।
এছাড়া এই উদযাপনে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মৎস বিজ্ঞানী ডক্টর মনোরঞ্জন রায় বলেন, ছোট ছোট জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস মুরগি পালন, জৈববৈচিত্র্য রক্ষা, সুরক্ষিত বিষ প্রয়োগ ছাড়াও এই জেলায় নদীতে ও পুকুরে যে প্রাচীন ও দেশীয় মাছগুলি হারিয়ে যাচ্ছে সেগুলিকে সুরক্ষার কথা চিন্তা ভাবনা করে সেই মতো কাজ করতে চাষীদের বলেন। এই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাণী পালন বিভাগের সহ অধ্যাপক ডক্টর মানিক চন্দ্র পাখিরা তিনিও এই দিনটির তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করেন। এই উদযাপনে উপস্থিত মৎস চাষী দলের মধ্যে উপস্থিত থেকে নিজের অভিজ্ঞতা গুলি নিয়ে আলোচনা করেন অগ্নি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সবুজায়ন এফ পি ও, বাগজান প্রগতিশীল এফ পি ও, বেংকান্দি কৃষক বন্ধু ফার্মারস ক্লাব, ভাগীরথী মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যরা।
- অমরজ্যোতি রায়