টমেটোর দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। খুচরা বাজারে এর দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। তবে এসবের মাঝে টমেটো চাষ করা এক কৃষকের লটারি লেগেছে। প্রকৃতপক্ষে, মহারাষ্ট্রের বারামতি তালুকের সাস্তাওয়াদি গ্রামের কৃষক গণেশ কদম মাত্র 4 মাসে টমেটো উৎপাদন থেকে 18 লাখ টাকা আয় করেছেন।
বারামতি তালুকের সাস্তাওয়াড়ি গ্রামের গণেশ কদম টমেটো উৎপাদন থেকে 18 লক্ষ টাকা লাভ করেছেন। আগে তিনি ১২ একর জমিতে সবজি চাষ করতেন। তবে এ বছর তিনি ১০ একর জমিতে সবজি ও দুই একর জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন।
খুচরা বাজারে বেড়েছে টমেটোর দাম
জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কারণে প্রথমদিকে গণেশ কদম চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু একসময় টমেটোর দাম বাড়লে তার লাভ বাড়তে থাকে। বর্তমানে বারমতীর খুচরা বাজারে টমেটোর দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা। পুনে এবং মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে একই হার পৌঁছেছে 130 টাকায়। বাজারে এই সুযোগটি উপলব্ধি করে গণেশ কদম তার টমেটো গোয়ার মহাপসা বাজারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুনঃ ডিএপি এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন এই সারগুলি
দুই একর চাষে খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা
দুই একর টমেটো চাষ করে কদম এখন পর্যন্ত রোপণ, স্টেজিং, মালচিং পেপার এবং ওষুধ স্প্রে করতে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত 18 লাখ টাকা লাভ করেছেন। টমেটো এখনও এক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে। তাই আরও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন গণেশ কদম।
আরও পড়ুনঃ এসব ছাল বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন কৃষক! কোন গাছ জানেন?
বারামতি তালুকের সাখারওয়াড়ি, সাখারওয়াড়ি, আট ফাটা, দহ ফাটা এলাকাগুলো টমেটো উৎপাদনের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতি বছর সাড়ে তিন থেকে চারশ একর জমিতে চাষ হয়। কিন্তু এ বছর সস্তাওয়াড়ি গ্রামে মাত্র পনের থেকে বিশ একর টমেটোর আবাদ রয়েছে বলে জানান কৃষকরা। গত মাসে এলাকার তাপমাত্রা ৪৫-এ পৌঁছেছিল। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টমেটো চাষীরা। এছাড়াও, টমেটোতে নতুন ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।