এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 21 January, 2021 6:05 PM IST
Successful Farmer Sanat Ghosh

বীরভূম জেলার ইলামবাজার ব্লকের হালিসডাঙ্গা গ্রামের বর্ধিষ্ণু কৃষক সনৎ ঘোষ - সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটির মূল জীবিকা ধান ও সবজি চাষ। প্রায় দুই একর জমিতে খরিফ মরশুমে ধান ও রবি মরশুমে মূলতঃ সবজি চাষ করাটাই সনৎ বাবুর আয়ের মূল উৎস। কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ার দরুন প্রায় ৩০ বছর ধরে কৃষির সাথে সনৎ বাবু যুক্ত।

স্বাভাবিকভাবেই কৃষির প্রতি তাঁর দক্ষতা ও জ্ঞান প্রশ্নাতীত !! সনৎ বাবুর দুই ছেলেও কৃষির সাথে যুক্ত। গ্রামের মানুষের কাছে সনৎ বাবু একজন উৎসাহী কৃষক  হিসেবেই পরিচিত। 

কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ, বিগত খরিফ মরশুমে প্রায় ১.৩৩ একর জমির ধান হঠাৎই নষ্ট হতে সুরে করে, ধানের গোড়া পচতে থাকে - স্থানীয় ভাষায় রোগটি "খোলাপচা" (Paddy Rot Disease) নামেই পরিচিত। খুবই দুশ্চিন্তায় পরে সনৎ বাবু, এমনকি সেই সময় দীর্ঘায়িত লকডাউন চলার জন্য অর্থনৈতিক অবস্থায় বেশ খারাপ চলছিল। নিজের অভিজ্ঞতায় ঔষধ প্রয়োগ করলেও তা বিশেষ কাজে লাগেনি। সেই মুহূর্তে, স্থানীয় একজন কৃষক এর কাছ থেকে সনৎ একটি কার্ডের মাধ্যমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের (Reliance Foundation) হেল্পলাইন  নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য পরিষেবার কথা জানতে পারে। এরপর রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম সাপোর্ট স্টাফ মৃনাল মন্ডলের মাধ্যমে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে কৃষি সম্পর্কিত একটি ভার্চুয়াল ট্রেনিং -এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়এবং বীরভূম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ সৌরভ মন্ডলের সাথে তাঁর সমস্যার কথা জানান। সমস্যার প্রকৃতি অনুধাবন করে সৌরভ বাবু তাঁকে প্রয়জনীয় ওষুধ ও তাঁর প্রয়োগ প্রণালী বলে দেন। সেই মতো অসুধ ব্যবহার করার এক সপ্তাহের মধ্যেই ধানের স্বাভাবিক রং  আবার ফিরে আসে এবং গোড়াও স্বাভাবিক হয়।   

আরও পড়ুন - সবজী চাষ করে সফল কৃষক বিশ্বজিৎ ঘরামি, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার এই কৃষক আজ সকলের মধ্যমণি (Biswajit Gharami, a successful farmer of West Bengal)

সফল কৃষক ভাই সনৎ ঘোষের বক্তব্য-

"রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন-এর এই পরিষেবার ফলে আমি প্রায় ৭০০কেজি ধান বাঁচাতে পেরেছি। যার বাজার মুল্য হলো প্রায় ১০১৫০ টাকা। রিলায়ন্স ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আমি ১.৩৩ একর জমিতে প্রায় ১৮০০ কেজির জায়গায় প্রায় ২৫০০ কেজি ধান ফলাতে পেরেছি। লকডাউন-এর সময় এই তথ্য পরিষেবা না পেলে আমি নিদারুন আর্থিক সংকটের মুখে পড়তাম। আজ, যখনি আমি কোনো কৃষি সম্পর্কিত সমস্যা পড়ি, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে সমাধান খুঁজে পাই।"

সর্বশেষে এই সফল কৃষক জানান, "আমাদের গ্রামের কৃষকরা আজ আর চিন্তিত হই না, কারণ আমাদের পাশে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আছে। ধন্যবাদ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন"।

আরও পড়ুন - (Surojit Biyeda, a successful farmer of West Bengal) টমেটো চাষ করে সফল কৃষক সুরজিত বৈদ্য, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার এই কৃষক আজ সকলের অনুপ্রেরক

English Summary: This Farmer got success in farming through the help of Reliance Foundation
Published on: 21 January 2021, 06:05 IST