কৃষিজাগরন ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানে বসবাসকারী একটি ছোট গ্রাম সাফা নাগরির বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুব তার কঠোর পরিশ্রম এবং চিন্তাভাবনা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে শুধুমাত্র সরকারি চাকরিই ভালো আয়ের একমাত্র উৎস নয়।
স্নাতক শেষ করেও সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরি পাননি, তাই ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে তিনি তার পৈতৃক জমিতে জৈব ও উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন। এই চাষ অল্প সময়ের মধ্যেই মোহাম্মদ আইয়ুবের ভাগ্য বদলে দেয়।
আরও পড়ুনঃ ইউপির প্রথম মহিলা বাস চালক প্রিয়াঙ্কার সাফল্যের কাহীনি
মোহাম্মদ আইয়ুবের ২ একর জমি রয়েছে। বর্তমানে তিনি অনেক ধরনের সবজি চাষ করেন। মোহাম্মদ আইয়ুবের মতে, তার এখন বছরে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, বাজারে যেসব সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সেসব সবজিই তিনি চাষ করেন। শীতকালেও তিনি জমি খালি রাখেন না।
আরও পড়ুনঃ ক্যাপসিকাম চাষে ভাগ্য বদলে গেল, বছরে এক কোটি টাকা আয় করছেন এই কৃষক
মহম্মদ আইয়ুব আরও বলেছেন যে কাশ্মীরের বেশিরভাগ মানুষ উদ্যান চাষকে অগ্রাধিকার দেয়। আপেলের সর্বোচ্চ উৎপাদনের কারণে এর হার কমেছে।
বর্তমানে বাজারে আপেল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। একই সঙ্গে মুলা চাষ থেকে প্রতি কেজি ৫০ টাকা পর্যন্ত আয় পাচ্ছেন তিনি। আইয়ুবের মতে, বাজারে ভালো চাহিদা থাকা ফসল চাষ করে বেকার যুবকরাও যথেষ্ট আয় করতে পারে।