কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পতিত জমিতে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক ইঞ্জিনিয়ার যুবক। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও তিনি কর্পোরেট কোনো কাজ করতে চাননি। পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন চাষবাস। আর এই ছকভাঙা পথে চলেই বাজিমাত তরুণের। ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করে এখন কোটিপতি উত্তরপ্রদেশের অতুল মিশ্র ৷
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে আল্লাহগঞ্জ থানার চিলাহুয়া গ্রামের বাসিন্দা অতুল চেন্নাই থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করেন৷সংবাদ মাধ্যম সুত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও চাকরিতে তার অনিচ্ছা ছিল।তাই মোটা বেতনের চাকরী নিমেষেই ছেড়ে দেন।তার ইচ্ছা ছিল ব্যতিক্রমি কিছু করার। ইন্টারনেটে সার্চ করে তিনি ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার কথা ভাবেন ৷২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের শোলাপুর থেকে তিনি ড্রাগন ফ্রুটের চারা প্রথম বার কেনেন ৷তার পর পারিবারিক মালিকানার পরিত্যক্ত জমিতে চাষ করেন ৷ সাফল্য দেখে তিনি ৫ একর জমিতে চাষ শুরু করেন ৷
আরও পড়ুনঃ কচু চাষ করে সফল হারুন রাশিদ
অতুল জানিয়েছেন,তাঁদের পরিবারের আরও ৭ একর পরিত্যক্ত জমি আছে ৷ সেখানেও পরের মরশুমে তিনি ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে চান ৷ চাষের কাজে অতুলকে সাহায্য করছেন আরও তিন জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা ৷ আগে অতুলদের জমিতে গম চাষ হত ৷ তার তুলনায় ড্রাগন ফ্রুট অনেক বেশি লাভজনক বলে জানিয়েছেন অতুল ৷ ড্রাগন ফ্রুট চাষের পাশাপাশি তিনি এই গাছের চারা বিলিও করছেন বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার কৃষকদের মধ্যে ৷ উৎসাহীদের ড্রাগনফ্রুট চাষ নিয়ে পরামর্শও দেন অতুল ৷
আরও পড়ুনঃ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক রাজস্থানের কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন
ক্রান্তীয় জলবায়ুর এই ফল মূলত পাওয়া যায় মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকায় ৷ ড্রাগন ফ্রুটের স্বাদ অনেকটা কিউয়ি এবং নাশপাতির মতো ৷ ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স ও থাইল্যান্ডেও ড্রাগনফ্রুট চাষ করা হয় ৷ ভারতের মহারাষ্ট্রেও এই ফলের চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ অতুল জানিয়েছেন তিনি গাছের চারা লাগানোর এক বছর পর ড্রাগন ফ্রুটের চারায় ফল ধরেছে ৷