কচু চাষ করে সফল হারুন রাশিদ

প্রায় ২২ বছর ধরে কচু চাষ করছেন হারুন অর রশিদ । কারন তার জমি অনেকটাই নিচু।সেই কারনে তিনি অন্য কোনও ফসল চাষ করতে পারেন না।

KJ Staff
KJ Staff

প্রায় ২২ বছর ধরে কচু চাষ করছেন হারুন অর রশিদ । কারন তার জমি অনেকটাই নিচু।সেই কারনে তিনি অন্য কোনও ফসল চাষ করতে পারেন না। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই কচু চাষ শুরু করেন হারুন। আর তাতেই সাফল্য অর্জন করেন তিনি। এবছরও নিজের ১০০ শতক জমিতে কচু চাষ করেছেন। অন্যের কাছ থেকে চাষকৃত আরও ৭০ শতক আবাদি ক্ষেত কিনেছে হারুন। এরই মধ্যে ১২০ শতক জমির কচু বাজারে বিক্রিও করেছেন। আরও এক মাস ধরে কচু বিক্রি করতে পারবেন তিনি। ১২০ শতকের কচু তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।

শুধু হারুন নয়, এভাবে কচু চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার অনেক কৃষক। কচু চাষ করে তারা এখন বেশ স্বাবলম্বী। উপজেলার এবার ১৫০ একর জমিতে কচুর চাষ হয়েছে।মিরসরাই উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় গিয়ে কথা হয় কৃষক নুর হোসেন ও নওশা মিয়ার সঙ্গে। নুর হোসেন বলেন, এবার ৬০ শতক জমিতে কচু চাষ করেছি। এরই মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকার কচু বিক্রি হয়েছে। আরও ১৫ দিন বিক্রি করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, কচু চাষে কষ্ট হলেও ভালো লাভ হয়। কচুর ফুল (স্থানীয় ভাষায় পোঁপা) ও লতি বিক্রি করা যায়।

কয়েকদিন পর পর জমি থেকে কচু তুলে পিকআপ যোগে সীতাকুন্ড, বারইয়ারহাট, মিঠাছরা, আবুতোরাব বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়ে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে থাকি। সেখান থেকে পাইকাররা ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যান।

আরও পড়ুনঃ বদলানো হবে খরিফ মৌসুমের ক্যালেন্ডার!

আরেক চাষি আবুল হোসেন বলেন, মিরসরাই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমাদের গ্রামে কচু চাষ করা হয়। আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে কচু চাষ হয়ে আসছে। আমরা এখনো কচু চাষ করে যাচ্ছি। কচু চাষের কারণে কচুয়া গ্রাম নামকরণ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হতে পারে। তবে সঠিক বলতে পারবো না।

জানা গেছে, জমি থেকে কচু তোলার কাজ ভালো আয় করছেন একাধিক কৃষি শ্রমিক। তবে সবাই একাজ করতে পারেন না। তাই কৃষকদের কাছে তাদের আলাদা কদর রয়েছে। কথা হয় এমনই একজন শ্রমিক মো. ফারুকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২৫ শতক জমিতে কচু চাষ করেছিলেন। ২২ হাজার টাকার ফুল ও লতি বিক্রি করেছি।

আরও পড়ুনঃ রানীতলা থানার চর এলাকায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে গাছ হয়েছে কলাই ধরেনি

এরপর অন্যের কাছে ৬৫ হাজার টাকায় ক্ষেত বিক্রি করে দিয়েছি। আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এখন অন্যের জমিতে কাজ করছি। ১৫০টি কচু জমি থেকে তুলে বিক্রির জন্য তৈরি করে দিলে ৭০০ টাকা বেতন পাই। ভোর ৬টা থেকে কাজ শুরু করলে বেলা ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এ কাজ করে ভালোই চলে যাচ্ছে আমাদের সংসার।

মিরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, উপজেলায় এবার ১৫০ একর জমিতে কচু চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষ হলেও সর্বোচ্চ চাষ হয় মিরসরাই পৌরসভা ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে। এসব এলাকার কৃষকরা কচু চাষে ভালো করেছেন।

Published On: 18 August 2022, 05:30 PM English Summary: Harun Rashid is successful in cultivating kachu

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters